‘সাপুড়েদের দেশ’ থেকে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি, ভারতের ঘুরে দাঁড়ানোর ৫ কারণ দেখে নিন
দারিদ্র, কালো কালো মানুষ আর সাপুড়েদের দেশ। একটা সময় পর্যন্ত ভারত মানে এটাই ভাবত প্রাশ্চাত্য দেশগুলো।

দারিদ্র, কালো কালো মানুষ আর সাপুড়েদের দেশ। একটা সময় পর্যন্ত ভারত মানে এটাই ভাবত প্রাশ্চাত্য দেশগুলো। আজ ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে দেশ। ভারত এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। টপকে গিয়েছে ব্রিটেনকেও। বিশ্ব দেখছে, সমস্ত প্রতিকূলতাকে হারিয়ে, প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে একটা জাতি কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
আজ বিশ্ব জানে, ভারত দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। বিশাল বাজার। এই দেশকে অস্বীকার করার ক্ষমতা কারও নেই। এই অভূতপূর্ব বিবর্তন বিভিন্ন উদ্যোগ এবং নীতির ফসল। এর মধ্যে যেমন রয়েছে শ্বেতবিপ্লব থেকে সবুজ বিপ্লব – দুধ থেকে খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বনির্ভর হওয়ার যাত্রাপথ। তেমনই রয়েছে আইটি সেক্টর থেকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া – বাদ দেওয়া যাবে না কোনও কিছুকেই। এগুলোই ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে ওঠার গতিপথকে রূপ দিয়েছে।
অর্থনৈতিক ও আয় বৃদ্ধি: ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৩.৫ শতাংশ। ১৯৯১ সালে উদার অর্থনীতির পথে হাঁটেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও। বিশ্ব অর্থনীতির সামনে খুলে দেন ভারতের পথ। জিডিপি দ্বিগুণ হারে বাড়তে থাকে। ২০২৩ সালে তা ৭.২ শতাংশ বেড়ে ৩.৭ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছেছে। ১৯৯০ সালের মাথাপিছু আয় ৩৬৯ ডলার থেকে বেড়ে ২০২৩০এ ২,৪৫০ ডলার ছুঁয়েছে।
সঞ্চয় আর্থিকীকরণ: ফিজিক্যাল স্টক ট্রেডিং থেকে ভারত এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পৌঁছেছে। এই যাত্রা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে বিনিয়োগে। ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। খুচরো বিনিয়োগকারীরাও বাজারমুখী। ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলায় রেকর্ড তৈরি হয়েছে।
বিদেশি পুঁজি: ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে প্রভাবিত বিদেশি শিল্পপতিরাও। ভারতে বিনিয়োগ করছেন তাঁরা। সুবিধাজনক নীতি, ক্রমবর্ধমান স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এবং দ্রুত বর্ধনশীল মধ্যবিত্ত শ্রেণী ভারতকে করে তুলেছে প্রধান বিনিয়োগ গন্তব্য।
ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড: ভারত বিপুল জনসংখ্যার দেশ। অধিকাংশই তরুণ। ফলে শ্রম এখানে তুলনামূলকভাবে সস্তা। ২০৩০ সালের মধ্যে কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যা ১ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দৃঢ় নীতি: অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গতিকে ত্বরান্বিত করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র সরকার। যেমন আত্মনির্ভর ভারত। শুধু তাই নয়, প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ স্কিমের প্রভাব, রিয়েল এস্টেট এবং পরিকাঠামোগত গতি এবং UPI, ONDC এবং OCEN এর মতো আর্থিক উদ্ভাবনগুলির বৃদ্ধি, অভিযোজনযোগ্যতা এবং উদ্ভাবনের উপর দেশের ফোকাসকে প্রদর্শন করে।