শেষ ভয়ের দিন! বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়ে কয়েক মাসেই ক্যানসার নিরাময় করছে এই ওষুধ

আর চিন্তা নেই! বিশ্ব ইতিহাসে চমক লাগিয়ে আবিস্কার হল মারণ রোগ ক্যান্সারের ঔষধ(Cancer Treatment)। এতদিন যে রোগের চিন্তা ও ভয় মানুষকে কুরে কুরে খেয়েছে, অবশেষে ঘটবে তার বিনাশ। কারণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য ইতিহাসের পাতায় জুড়তে চলেছে ক্যান্সারের ঔষধের নাম। নিউ ইয়র্কে(New York) ঘটা একটি মেডিক্যাল ট্রায়ালে(Medical Trail) নিজেদের নাম নথীভুক্ত করেন কিছু  রোগী। তাদের প্রত্যেকেই মলদ্বারে হওয়া ক্যান্সার(Cancer) দ্বারা আক্রান্ত। যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয়, রেকটাল ক্যান্সার। এই ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের নিয়েই নিজেদের একটি মেডিক্যাল ট্রায়াল চালায় নিউ ইয়র্ক মেমোরিয়াল স্লোন কেটেরিং ক্যান্সার সেন্টার নামে একটি ক্যান্সার নিবারক সংস্থা। টানা ছ’মাস ধরে চলে এই মেডিক্যাল ট্রায়াল। যার ফলাফল দেখে আপাতত চক্ষু চড়ক গাছ বিশ্ববাসীর। 

উল্লেখ্য, মাস ছ’য়েক ধরে চলা এই মেডিক্যাল ট্রায়ালের শেষে রোগীদের উপর নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, তাদের দেহ থেকে ক্যান্সার উধাও। ঘটনার ফলাফল এতটাই রোমহর্ষক যে তা প্রথমে কারোর কাছেই বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। কিন্তু চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষার ফলাফল বলছিল এমনটাই। এ প্রসঙ্গে ওই ক্যান্সার নিবারক সংস্থার চিকিৎসক লুইজ.এ.ডিয়াজ.জে বলেন, “ক্যান্সারেরে ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথম।” 

cancer

সংস্থার তরফে  জানা গিয়েছে, এই মেডিক্যাল ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী  ১৮ জন রোগীর উপর ‘ডোস্টারলিমব’ নামে একটি ঔষধ ব্যবহার করা হয়। টানা ছয় মাস ধরে এই ঔষধ চলার ফলে ধীরে ধীরে তাদের শরীরে পরিবর্তন দেখা যায়। যার ফলাফল আজ বিশ্ববাসীর সামনে। আজ  সম্পূর্ণ ভাবে ক্যান্সার মুক্ত মেডিক্যাল ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী ব্যাক্তিরা। এ প্রসঙ্গে নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল ট্রায়ালের আগে এই ব্যাক্তি কেমোথেরাপি থেকে রেডিয়েশন পর্যন্ত প্রতিটি পদ্ধতিতেই ক্যান্সারের চিকিৎসা করিয়েছিল। কিন্তু তাতে বিশেষ কিছু লাভ হয়নি তাদের। উল্টে শারীরিক দুর্বলতা ও অন্যান্য রোগের বাসা হয়ে উঠেছিল দেহ। তবে এখন আর কোনও চিন্তা নেই তাদের। কারণ ক্যান্সার থেকে মুক্ত তারা। 

প্রসঙ্গত ক্যান্সার মারণের এই ওষুধ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত, ‘ডোস্টারমিলাব বিশ্ব স্বাস্থ্য ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে দিয়েছে। এই ঔষধটি মূলত রোগীর শরীরে প্রবেশ করে ক্যান্সারের অ্যান্টিবডি তৈরি করছে। যার ফলে টানা ওষুধটি নিজেদের দেহে প্রয়োগের মধ্যে দিয়ে কয়েক মাসে মধ্যেই শরীর থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে এই মারণ রোগ।’




Leave a Reply

Back to top button