KFCও শেষে ক্ষমা চাইল, ভুল নাকি ইচ্ছাকৃত

রিমা শিয়ালী, কলকাতা: বেশ কিছুদিন ধরেই টুইটারে (Twitter)উঠেছে বিতর্কের ঝড়। দক্ষিণ কোরিয়ার (south korea) অটোমোবাইল কোম্পানি হুন্ডাইয়ের (Hyundai) পর আমেরিকান ফাস্টফুড চেইন কেএফসি (KFC) এবং পিজাহাটের (pizza Hut) ওপর ভারতীয় নাগরিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ঘটনাটি সূত্রপাত হয় যখন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিখ্যাত অটোমোবাইল কোম্পানি হুন্ডাইয়ের পাকিস্তানি শাখার একটি অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে কাশ্মীর সংহতি দিবসের (Kashmir solidarity day) উপর একটি বিতর্কিত মতবাদ পোস্ট করা হয়। এই ঘটনা ঘটার পর একই ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটায় বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ফুড চেইন কেএফসি।এখানে বলে রাখা ভালো যে, কাশ্মীর সংহতি দিবস প্রতিবছর পাকিস্তানে ৫ ফেব্রুয়ারি (5th February) পালন করা হয়। ভারতের মাটিতে বসবাসকারী সক্রিয় সন্ত্রাসবাদি ও কাশ্মীর থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে এমন মানুষদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করার জন্য এই দিনটিকে পালন করে পাকিস্তান। এমনকি এই দিনে পাকিস্তানের ছুটির ও ঘোষণা করা হয়েছে।
KFC: বয়কট হুন্ডাই
হুন্ডাইয়ের পাকিস্তানি শাখা তার অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল গুলিতে কাশ্মীর সংহতি দিবসকে সমর্থন করে একটি পোস্ট শেয়ার করলে হুন্ডাই কোম্পানি কে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। শীঘ্রই ‘বয়কট হুন্ডাই’ হ্যাশট্যাগ টুইটারে ট্রেন্ডিং এ চলতে থাকে। হুন্ডাই মটরস এর ভারতীয় শাখা আশঙ্কা করে এমন চলতে থাকলে তা ব্যবসার পথে বাধা সৃষ্টি করবে। ফলে তারা পরে একটি স্টেটমেন্ট প্রকাশ করে যেখানে তারা বলে,” হুন্ডাই মটরস প্রায় ২৫ বছর ধরে ভারতীয় বাজারে রয়েছে এবং তারা জাতীয়তাবাদকে দৃঢ়ভাবে সম্মান করে। এই কারণেই এত বছর ধরে তারা ভারতীয় বাজারে স্থান পেয়েছে। কিন্তু হুন্ডাই মটর সম্বন্ধে এই ধরনের অযাচিত মন্তব্য এই মহান দেশের প্রতি আমাদের নেওয়া প্রতিশ্রুতি এবং পরিষেবা কে তীব্র ভাবে আঘাত করেছে। ভারত এই কোম্পানির কাছে তার দ্বিতীয়বারের মতো এবং আমরা ভারতকে নিয়ে করা এরকম মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করি।”
আরও পড়ুন-Lata Mangeshkar : লতা মঙ্গেশকর বায়োপিক! কিন্তু শেষে…https://thebengalichronicle.com/lata-mangeshkar-rejected-her-biopic/
আরও পড়ুন-Bollywood News : পর্নোগ্রাফি মামলায় জেল খেটেছে স্বামী, একসময় রাজকে বিয়েতেই আপত্তি ছিল শিল্পার!https://thebengalichronicle.com/bollywood-news-about-raj-kundra/
KFC: কেএফসি পোস্ট
হুন্ডাইয়ের পর পাকিস্তানের কেএফসি শাখার টুইটার হ্যান্ডেল ফের একই ঘটনা ঘটায়। তারা পাকিস্থানে হওয়া কাশ্মীর সংহতি দিবসকে পূর্ণ সমর্থন জানায়। একটি পোষ্টের মাধ্যমে তারা জানায় যে,”আমরা তাদের এই স্বাধীনতার অধিকারকে উপলব্ধি করার জন্য কাশ্মীর সংহতি দিবসে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। “বিষয়গুলি আরও জল ঘোলা হয়ে পড়ে যখন তারা একটি তুষারময় পাহাড়ের ছবি পোস্ট করে, যেটিতে কাশ্মীর লেখাটি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা ছিল। যার মাধ্যমে বোঝানো হয় যে কাশ্মীর এখনও স্বাধীন নয়।
এসব কিছুর পর কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে কেএফসি পাকিস্তানের এরকম পোস্ট এর ছবি টুইটারে ভাইরাল হতে থাকে এবং ভারতীয়রা তাদের হতাশা টুইটারের মাধ্যমে প্রকাশ করতে থাকে। শত শত টুইটার ব্যবহারকারীরা বলেন যে কেএফসি পাকিস্তান কাশ্মীরের স্পর্শকাতর’ বিষয়গুলিকে নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে এবং বেশিরভাগ নাগরিক কেএফসিতে আর কখনো না খাওয়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে কেএফসি ইন্ডিয়া ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের কেএফসি শাখাগুলির বিতর্কিত পোষ্টের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। তারা জানিয়েছে,”বাইরের দেশের কেএফসি শাখার সোশ্যাল মিডিয়া থেকে করা বিতর্কিত পোস্ট গুলির জন্য আমরা সত্যিই ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা ভারতকে সম্মান করি এবং আমরা গর্বের সাথে সমস্ত ভারতীয় দের সেবা করার প্রতিশ্রুতিতে অবিচল থাকবো।”