বিশ্বরোষে পুতিন সহচর ধনকুবেররা, পশ্চিমে নিষেধাজ্ঞা পড়ল এই রুশ ধনীদের উপর

রাজকুমার মণ্ডল, কলকাতা  : রুশ ধনকুবেরদের উপর কঠোর ( Russian oligarchy ) নিষোধাজ্ঞা। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহচরধনকুবের ব্যবসায়ীদের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন সরকার রুশ অতি ধনীদের ওপর পশ্চিমা বিশ্বে নিষেধাজ্ঞা জারী করে। রাশিয়ান অলিগার্ক এর তরফেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ। পুতিন তার সহচরদের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল। ক্রাইমিয়া দখল করার পর যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর ( Russian oligarchy ) সাথে তার সম্পর্কে অবনতি ঘটে। রাশিয়াতে বিনিয়োগ করেছিলেন বেশ কয়েকজন ধনকুবের ব্যাবসায়ী। অন্যরা বিদেশে বহুমূল্যবাল বাড়ি, ভূ-সম্পত্তি এবং ফুটবল ক্লাবে বিনিয়োগ করেছেন। আবার অনেকে বিদেশী বিভিন্ন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানি। নিষেধাজ্ঞার পর নিজেদের অর্জিত সম্পদ রক্ষায় তাদের ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হবে বলে জানা যাচ্ছে। কয়েকজনউল্লেখযোগ্য রুশ ধনকুবের সম্পর্কে কিছু তথ্য।Russian oligarchy

উজবেকিস্তানের ব্যবসায়ী ইউএসএম হোল্ডিংস মাইনিং এবং টেলিকম ব্যবসায় রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল নেটওয়ার্ক মেগাফোনের মালিক।আলীশের উসমানভ রাশিয়ার শীর্ষ বিত্তবানদের ও পুতিন ঘনিষ্ঠ অলিগার্কদের একজন। ফোবসের তথ্য অনুযায়ী তার সম্পত্তির পরিমাণ সাড়ে ১৭ শত কোটি ডলারের বেশি। ফেন্সার মি. উসমানভক ইউরোপীয় ইউনিয়নের ( Russian oligarchy ) একজন ‘ব্যবসায়ী-কর্মকর্তা’ বা ‘কর্মকর্তা ব্যবসায়ী’ প্রেসিডেন্টের ব্যবসায়িক সমস্যা সমাধানে সাহায্য করেন। এঁদের সকলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইইউ। একই পথে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যও। অবশ্য নিষেধাজ্ঞাকে অন্যায্য এবং অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে। ইউএসএম হোল্ডিংস এর বিশাল ইয়ট বা প্রমোদতরী দিলবার মেরামতের জন্য এই মূহুর্তে জার্মানির হামবুর্গে আছে এবং যে কোন মূহুর্তে সেটি বাজেয়াপ্ত হতে পারে এমন আশংকা। যুক্তরাজ্যে বড় বিনিয়োগ রয়েছে বাড়িঘরে। লন্ডনের বীচউড হাউজ নামে ৬৫ মিলিয়ন পাউন্ড দামের একটি বাড়ি ও লন্ডনের বাইরে সারেতে সাটন প্লেস নামে একটি টিউডর ম্যানসনের মালিক তিনি। ফারহাদ মশিরি ফুটবল ক্লাব এভারটনের মালিক, এবং মি. উসমানভের প্রতিষ্ঠান ইউএসএম, মেগাফোন এবং ইওটা ওই ক্লাবের মূল স্পন্সর। ব্রিটিশ ফুটবলেও তার ব্যাপক বিনিয়োগ আছে।

ওলেগ ডেরিপাসকাকে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে দেখা যায়। আগে চেলসির সব ম্যাচ মাঠে হাজির থাকতেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ওলেগ ডেরিপাসকার উপর। প্রেসিডেন্ট পুতিন ক্ষমতায় আসার পর এই ধনবানের বিত্তের পরিমাণ ২৮ শত কোটি ডলার। বর্তমানে ৩০০ কোটি ডলারের মালিক। যুক্তরাষ্ট্রের রিপের্টে মানিলন্ডারিং, ঘুষ, চাঁদাবাজি এবং ফন্দিফিকিরের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে ‘একজন ব্যবসায়ীকে হত্যা এবং রাশিয়ার সংঘবদ্ধ অপরাধীদের সাথে যোগসাজশ’ থাকার অভিযোগও রয়েছে। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক মন্দায় ব্যাপক লোকসানে পুতিন উদ্ধার করেন ওলেগ ডেরিপাসকাকে।

আরো পড়ুন‌‌‌‌‌‌‌‌ বিশ্বকাপে অ্যামেলিয়া কের অল-রাউন্ড পারফরমেন্সে ধরাশায়ী ভারত তনয়ারা

রোমান অ্যাব্রামোভিচের উপর আপাতত কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও রাশিয়ার ( Russian oligarchy ) অন্যতম বিলিয়নিয়ার সফল ফুটবল ক্লাব চেলসি এফিসির মালিক। অ্যাব্রামোভিচ ক্রেমলিন ও পুতিনের ঘনিষ্ঠতা চুপুচুপি। নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়লে প্রায় সাড়ে ১২ শত কোটি ডলারের বিনিয়োগ জলে যাবে। সম্প্রতি ৩০০ কোটি পাউন্ডের ক্লাব চেলসি এবং লন্ডনের কেনসিংটন প্যালেস গার্ডেন এলাকায় তার ১৫ কোটি পাউন্ড দামের বাড়ি বিক্রি করার কথা ঘোষণা দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি সিবনেফ্ট এর ব্যাবসা করেন। বিশ্বের তৃতীয় দীর্ঘতম প্রমোদতরী একলিপ্স অ্যাব্রামোভিচের। ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে রয়েছে। থেকে বেরিয়ে গেছে। আরেক বিশাল প্রমোদতরী সোলারিস বার্সেলোনাতে।যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউয়ের নিষেধাজ্ঞার মুখে পুতিনের সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের ইগর সেচিন। ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ইগর সেচিনের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। রাশিয়ার ডার্থ ভেডার নামেও ডাকা হয়।

সেচিন রাজনীতি এবং ব্যবসা দুইই করেন। পুতিন প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে তিনি শীর্ষ তেল কোম্পানি রোসনেফ্ট পরিচালনার দায়িত্বে। পিওতর আভেন এবং মিখাইল ফ্রিডম্যানবছরে প্রায় চারবার ক্রেমলিনে ( Russian oligarchy ) পুতিনের সাথে দেখা করেন। লেটারওয়ান ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি ১০ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দুইজনে,যার প্রধান কার্যালয় লন্ডনে। ইইউয়ের নিষেধাজ্ঞায় ওই প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ফ্রিজ করা হয়। মি.ফ্রিডম্যানের সম্পদের পরিমাণ ১২ শত কোটি ডলার। লন্ডনে লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের পাশে একটি বাড়িতে থাকেন এবং উত্তর লন্ডনে অ্যাথলোন হাউস নামে এক বিশাল ভূ-সম্পত্তিরও মালিক তিনি। দাম সাড়ে ছয় কোটি পাউন্ড।

আলেক্সি মিলার নব্বইয়ের দশকে পুতিনের মেয়র থাকাকালীন কাজ করেছেন। গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতেও ছিলেন। আলেক্সি মিলার ভ্লাদিমির পুতিনের খুবই রহস্যময় বন্ধু। নব্বইয়ের দশকে সেন্ট পিটার্সবার্গ মেয়রের অফিসে বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগে মি. পুতিনের সহকারী ছিলেন। মস্কোয় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত গ্যাজপ্রমকে ‘অদক্ষ, রাজনৈতিকভাবে পরিচালিত এবং দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে প্রমান করেন। মোট সম্পদের পরিমাণও জানা যায়নি।পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহচরদের মধ্যে পিওতর আভেন এবং মিখাইল ফ্রিডম্যান, মত অলিগার্কের। দুইজন একত্রে রাশিয়ার বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংক আলফা-ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা।




Leave a Reply

Back to top button