ডায়মন্ড হারবার থেকে অভিষেকের হুংকার
তিনি জানান, “ইডি সিবিআই লাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে রোখা যায়নি আর যাবেওনা। যত এজেন্সি লাগাবে ততই জোরদার হবে তৃণমূলের আন্দোলন।”

কলকাতা: দুর্গাপূজো আমজনতার জন্য আনন্দময় হলেও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেতা-নেত্রীরা এই সময়ে চালিয়ে যাচ্ছে জনসংযোগ। পাশাপাশি রয়েছে তাদের একাধিক কর্মসূচিও। এবার পুজোতে দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছেন ‘অভিষেকের দুত’। পুজোর শুরু থেকেই তাঁকে লাগাতার বার্তা দিতে শোনা যায়। পঞ্চমীর দিনও তিনি রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ বার্তা দিলেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পঞ্চমীর দিন ডায়মন্ড হারবারে বস্ত্র বিতরণ করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। সাতগাছিয়া এবং বিষ্ণুপুর এলাকায় বস্ত্র বিতরণ করেন তিনি। এই কর্মসূচি থেকে তিনি রাজ্যবাসীদের বার্তার পাশাপাশি কিছু বিশেষ উপদেশও দেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “কতো চেষ্টা করলো নরেন্দ্র মোদির সরকার। ইডি, সিবিআই, সবকিছু লাগিয়ে দিল তবুও আমি নিজের মেরুদণ্ড বিক্রি করিনি। আমাকে ওরা কিনতে পারেনি। আমার মেরুদন্ড সোজা। সেটাকে কোনদিনও বিক্রি হবেনা বিজেপির কাছে।” বিজেপি সরকারের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার তিনি বামফ্রন্ট সরকারের আমলেরও কিছু কথা তুলে ধরেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, “একটা সময় ছিল যখন এই এলাকার রাস্তাঘাট দিয়ে মানুষ ঠিকভাবে হাঁটতে পারত না। ২০০৯ সালে ডায়মন্ড হারবারে প্রথমবার তৃণমূল জেতে। তারপর থেকেই এখানে শুরু হয় উন্নয়ন। ২০১৪ সালে আবার যখন আমি জিতি, এই নয় বছরে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার রাস্তা আমি তৈরি করেছি মানুষের সুবিধার্থে।”
এরপরেই আসতে থাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রণহুংকার। তিনি সরাসরি ডায়মন্ড হারবারবাসীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, “আপনারা কি চান মা মাটি মানুষের সরকার বহিরাগত নেতাদের পায়ে গিয়ে পড়ুক? এজেন্সি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে কোনদিনই রোখা যায়নি, আজও যাবেনা এবং ভবিষ্যতেও পারবেনা। যত এজেন্সি লাগাবে ততই তৃণমূল গর্জে উঠবে। এই লড়াইয়ের শেষ আমরা দেখে ছাড়বই।” এখানেই শেষ নয়, বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে তিনি আরও জানান, “আমরা লড়াই করবো। নিজেদের অধিকারকে সামনে রেখে লড়াই করবো। যারা আপনাদের বিপদে আপনাদের পাশে ছিল, আপনাদেরকেও তাদের সঙ্গে থাকতে হবে। যারা নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে পড়ে আর দেখা দেয়না, সেই আবর্জনাগুলোকে ঝেটিয়ে বিদায় করুন। বাংলার উন্নয়ন, বাংলার শান্তিকে বজায় রাখতে হবে।”