বাংলার প্রথম ফুসফুস প্রতিস্থাপন, এ যেন এক ‘নয়া ইতিহাস’

একজনের ফুসফুস লাগানো হবে আরেকজনের শরীরে- এক সময় এই বিষয়টি ছিল মানুষের কল্পনারও অতীত। চিকিৎসাবিজ্ঞান সেই কল্পনাকে বাস্তবে রূপদান করেছে অনেকদিন আগেই। ফুসফুস প্রতিস্থাপনের সেই ধারাবাহিকতায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটেছিল এই তিলত্তমার মেডিকো সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ( Bengal History)। তাও আবার এই হালের কথা।
দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা ধরে চলেছিল সেই ইতিহাসিক অপারেশন ( Bengal History)। রোগীর মৃত্যুর পূর্ণ আশঙ্কা ছিল, কিন্তু সেই ঝুঁকি কাটিয়ে সফলতার মুখ দেখাতে পেরেছিলেন চিকিৎসকরা। পশ্চিমবঙ্গের ( Bengal History) চিকিৎসাজগতে এই ঘটনাকে ‘নয়া ইতিহাস’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। জোড়া লাগানো ফুসফুস কাজ করেছিল একেবারে ঠিকঠাক।
করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪৬ বছর বয়সী এক রোগী ১০৩ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় তার ফুসফুস কাজ করছিল না। এজন্য দুমাস তাকে একমো সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছিল। শেষেরদিকে যখন সেই সাপোর্টও কাজ করছিল না, তখন অনেকটা বাধ্য হয়ে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় মেডিকেল বোর্ড।
কিন্তু ফুসফুস পাওয়া যাবে কোথায়? খোঁজ করার এক পর্যায়ে জানা গেল, গুজরাটে এক রোগীকে ব্রেনডেড ঘোষণা করা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে দুই রোগীর স্বজনরা যখন একমত হয় তখন গুজরাট থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফুসফুস নিয়ে আসা হয় কলকাতায় ( Bengal History)। আর তারপরই ঘটে গেল এক ইতিহাস ( Bengal History)।
আরও পড়ুন- দুর্যোগ ত্রাণে তৈরী ড্রোন, শ্রীনগরের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রের বিষ্ময়কর সৃষ্টি
আরও পড়ুন- ফের ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানির দাম, মাথায় হাত মধ্যবিত্তদের