Chicken Pakora : অগ্নিমূল্যের বাজারে আড়াই টাকায় চিকেন পকোড়া, অসম্ভবকে সম্ভব করছেন এই মহিলা

বর্তমানে সময়ে রাজ্য বা বলা চলে দেশীয় বাজারে লেগে গিয়েছে আগুন। প্রতিটি দ্রব্য ( Chicken Pakora ) পণ্যের দামই আকাশছোঁয়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থেকে শুরু করে সব কিছুই এখন মানুষের হাত ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে দিন প্রতি দিন। এই পরিস্থিতিতে যদি বাজার করতে বেরিয়ে দেখেন একজন মহিলা আড়াই টাকায় চিকেন পকোড়া ( Chicken Pakora ) বিক্রি করছে তাহলে ব্যাপারটা ঠিক কেমন হয় বলুন তো? অধিকাংশ মানুষেরই দেখে চক্ষু চড়ক গাছ হওয়ার মতোই পরিস্থিতি হবে।
ঘটনা কলকাতার। সেখানেই আড়াই টাকায় মিলছে চিকেন পকোড়া ( Chicken Pakora ) । কলকাতার রাস্তার রকমারি খাবারের স্বাদ-গন্ধ-দামে চিরকালই প্রেমে পড়েছে শহর তথা রাজ্যবাসী। এমনকী সুদূর প্রান্ত থেকেও কলকাতার খাদ্যভাসের টানে প্রতিবছরই চলে আসতে দেখা যায় বহু ভিন দেশিকে। এবার সেখানেই মিলছে আড়াই টাকার চিকেন পকোড়া ( Chicken Pakora ) । রাতারাতি ভাইরাল বিক্রেতা। উপচে পড়া ভিড় দোকানে। খদ্দের সামলাদে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে মহিলাকে। এই পরিস্থিতিতে নিশ্চয়ই মনে একটি প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক তা হল, এই মহানগরের কোন প্রান্তে মিলবে সেই আড়াই টাকার চিকেন পকোড়া ( Chicken Pakora ) ?
উল্লেখ্য, ঢাকুরিয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘকাল ধরে ভাতের হোটেল চালাতেন লক্ষ্মী মন্ডল। তবে ভাতের হোটেলের পাশাপাশি ইচ্ছা ছিল পকোড়ার ( Chicken Pakora ) দোকান দেওয়ার। আর মনের কোণে থাকা ইচ্ছাকে বাস্তবে পরিণত করার পরই সামাজিক মাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল লক্ষ্মী মন্ডল। ঢাকুরিয়া রেল কলোনির বাসিন্দা বছর ৫০-এর লক্ষ্মী মন্ডল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘যেদিন প্রথম পকোড়ার দোকান দিই সেদিন স্থানিয় কিছু ছেলে মেয়েরা আমার কাছে আবদার করেছিল পকোড়ার ( Chicken Pakora ) দাম আড়াই টাকা রাখতে। তাদের আবদার মেনেই এই দাম ঠিক করি।’ তবে রাতারাতি যে তিনি ‘ফেমাস’ হয়ে যাবেন এই কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি লক্ষ্মী মন্ডল। তিনি এদিন আরও বলেন, ‘আমার কাছে ফোন নেই। ছেলে আমাকে দেখায় আমাদের দোকানের ছবি নাকি নেটে ঘুরছে।’ তিনি জানান, ‘চিকেন, ধনে পাতা দিয়ে তিনি চিকেন পকোড়া তৈরি করেন। দাম মাত্র ‘আড়াই টাকা’। এখনই দাম বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই।’
প্রসঙ্গত, রাতারাতি জনপ্রিয়তার জেরে খদ্দের বেড়েছে খদ্দের বেড়েছে লক্ষ্মী মন্ডলের দোকান। মুহূর্তে ফুরিয়ে যাচ্ছে সমস্ত পকোড়া। লক্ষ্মী বলেন, ‘এত বেশি লোকজন আসছে যে অনেক সময় পকোড়ার জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। একটু সন্ধ্যা গড়ালেই সকলকে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।’ সামাজিক মাধ্যমের জেরে ভীষণভাবে ‘ফেমাস’ হয়ে পড়েছে তাঁর চিকেন পকোড়া ( Chicken Pakora ) । কিন্তু এত জনপ্রিয়তা লাভের পরও ব্যবসা বাড়ানোর দিকে কোনও পরিকল্পনা নেই লক্ষ্মী মন্ডলের। এদিন তিনি স্পষ্ট জানান, তাঁর ভরা সংসার। দুই ছেলে, বৌমা, নাতি রয়েছে বাড়িতে। তাঁকে সকলেই অত্যন্ত সম্মান করে। নিতান্তই ব্যস্ত থাকার উদ্দেশ্যে তাঁর এই পকোড়ার ব্যবসা শুরু করা। ফলে এখনই ব্যবসা বাড়ানোর দিকে কোনও চিন্তা ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন…..Bollywood Couple : সিনেমার প্রেম থেকে বাস্তবের সঙ্গিনী, সাতপাকে ঘুরেছেন এই ৭ তারকা জুটি
অন্যদিকে, এই আড়াই টাকার চিকেন পকোড়ায় ( Chicken Pakora ) বেশ মজেছে শহরের বাসিন্দারা। পাশাপাশি, এত জনপ্রিয়তা লাভের জেরে দায়িত্ব বেড়েছে লক্ষ্মী মন্ডলের। খাবারের মান যাতে কোনও ভাবে না পড়ে যায় সেই দিকে বিশেষ নজর দিতে হচ্ছে তাঁকে।