সিবিআই হানার পর পুজোর ফ্যাশন নিয়ে ব্যস্ত মদন মিত্র
আসলে সিবিআই আমায় খুব ভালোবাসেন এবং যতবার আসবে ততবারই সাহায্য করবো এবং সবকিছুর উত্তর দেবো।

শুভঙ্কর, কলকাতা: বাড়িতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হানা। কিন্তু তাতেও যেন নেই তার কোন চাপ। বরং তাকে দেখা গেল আরও রঙিন মেজাজে। নিশ্চয়ই ভাবছেন এখানে কার কথা বলা হচ্ছে? তিনি আর কেউ নন তিনি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ‘কালারফুল বয়’ মদন মিত্র। টানা ৫ ঘন্টা ধরে তার বাড়িগুলিতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। বিকেল চারটের সময় নিজের ভবানীপুরের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল বিধায়ক এবং নিজের বক্তব্য পেশ করেন এই বিষয়ে।
তিনি জানান, “সিবিআই আমার বাড়িতে এসে আমার কাছ থেকে যা জানতে চেয়েছে আমি সব বলেছি। যখন এইসব পুরসভা গুলিতে চাকরি হয় সেই সময় আমি জেল কাস্টডিতে ছিলাম। তাহলে কিভাবে তখন আমার এতো পাওয়ার থাকতে পারে। দক্ষিণেশ্বরে আমার কোন বাড়ি নেই, একটি অফিস আছে। চাকরিপ্রার্থীরা হয়ত চাকরির জন্য এসেছিল। তবে জানা উচিত যে তারা আদৌ চাকরি পেয়েছে কিনা।” সিবিআই হানা শেষে তিনি সরাসরি চলে যান রাজভবনের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্ণা মঞ্চে যোগদান করতে। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কামারহাটির বিধায়ক জানান, “আমার হৃদয়ে জনতা আর নয়নে মমতা। ইডি আমার সাথে দেখা করতে চেয়েছিল। যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকতো তাহলে আমায় ধরে নিয়ে চলে যেত। কিন্তু তারাও জানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি ও তার কতটা ক্ষমতা।”
তাঁর বাড়ি থেকে কিছু পাওয়া গেছে কিনা, সেই সম্বন্ধে মদন মিত্র জানান, “কোন কিছুই সিজ হয়নি আমি পূর্ণ সহযোগিতা করেছি।” এরপরই তিনি বলেন, “আমি মদন মিত্র বুকের পাটা ফুলিয়ে বলছি যতদিন বেঁচে আছি ততদিন ছেলেমেয়েদের চাকরির জন্য লড়াই করব। যদি আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পায়,তাহলে আমি নিজেই গলায় ফাঁসি দেবো।” এই সম্বন্ধে কামারহাটির বিধায়ক আরও জানান, “আসলে সিবিআই আমায় খুব ভালোবাসেন। যতবার আসবে ততবারই সাহায্য করবো এবং সবকিছুর উত্তর দেবো। মদন মিত্রের মত সৎ নেতা আর নেই। মোদি যা রাহা হে, ইন্ডিয়া আ রাহা হে।” উল্লেখ্য, শুধু মদন মিত্রই নয়, রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেই মুহূর্তে তাঁর বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তাঁর সমর্থকরা। অবশেষে পুরমন্ত্রী এই বিষয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করেন এবং ধিক্কার জানান কেন্দ্রীয় সরকারকে।