মনে বিষাদের সুর লাগলেও মায়ের জন্য পরের বছরের অপেক্ষা থেকেই যাবে

পুজো আসছে পুজো আসছে বলে এই যে সাজো সাজো রব তা যেনো আসার সাথে সাথেই কখন জানি শেষ হয়ে যায়। এই সেদিন মহালয়া কাটিয়ে বাঙালি আমন্ত্রণ জানিয়েছিল দেবী দুর্গাকে কিন্তু আজ তার চলে যাবার দিন। দশমী , নবমী কাটতে না কাটতেই দশমীর দিন।

পুজো আসছে পুজো আসছে বলে এই যে সাজো সাজো রব তা যেনো আসার সাথে সাথেই কখন জানি শেষ হয়ে যায়। এই সেদিন মহালয়া কাটিয়ে বাঙালি আমন্ত্রণ জানিয়েছিল দেবী দুর্গাকে কিন্তু আজ তার চলে যাবার দিন। দশমী , নবমী কাটতে না কাটতেই দশমীর দিন। যেনো না আসলেই পারত এই দিনটা। আর কত দিন এই পুজোর রেশটা থাকতে পারতো , মা তার সন্তানদের সাথে মর্তে থেকে যেতে পারতো। আজ মন খারাপের দিন , মাকে বিদায় জানানোর পালা।মাকে বিদায় জানিয়ে আবারো পরের বছরের জন্য অপেক্ষা। এখন থেকেই দেখতে থাকা যে আবার কবে আসছে মা।

বাপের বাড়ি থেকে স্বামীর ঘরে ফেরার উদ্ধেশে মঙ্গলবার রওনা দিলেন দেবী। তাই চলে যাবার জন্য মন কেমন করলেও মর্তবাসি তাকে বিদায় জানিয়েছে হাসি মুখে এটা ভেবে যে ,আসছে বছর আবার তো হবেই। আবার সেই ঢাকের শব্দে মেতে ওঠা আবার সেই নাচে গানে মেতে উঠবে মনটা আবার সেই পুজোর প্রেমের গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে উঠবে বাঙালি।

তাই মাকে খুশি মনে বিদায় পর্ব শুরু হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার থেকে। তাই সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে শুরু হয়েছিল সিঁদুর খেলা ,সাথে ঢাকের তালে মাকে আনন্দের সাথে বিসর্জনের জন্য ঘাটের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

বনেদি থেকে বারোয়ারী সকল স্থানে চলছে নিরঞ্জন পর্ব। এমনই ছবি দেখা গেছে বাদা কদমতলা ঘাট, দার্জিলিং,টাকি ইছামতি,কল্যাণী,নদীয়া। পুজো শেষ তাই মন খারাপের দিন । নিয়ম মেনে মাকে বিদায় জানানো সাথে চোখে জল । সকলের মুখে একটাই কথা মন খারাপ হলেও যদি শুরু থেকে যেমন শেষ হয় তেমনিই শেষ থেকে আবার শুরুও হয় । তাই নতুন কিছুর শুরু করতে হলে এইটুকু বিচ্ছেদ ভালো।

এছাড়াও , আনন্দে মাকে বিসর্জনের ছবিও দেখা গেছে, ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন ক্লাব সহ বাগবাজার সার্বজনীন , ম্যাডক্স স্কোয়ার,হাজরা পার্ক সার্বজনীন, মহিসাদল সার্বজনীন ।

প্যান্ডেলের পুজোর সাথে রয়েছে রীতি মেনে আমাকে বিদায়। সেই প্রথারও অন্যথা হয়নি শোভাবাজার রাজবাড়ীতে। মাকে দর্পণে বিসর্জন পাশাপাশি নিয়মানুসারে প্রতীকী নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানোর মাধ্যমে মায়ের কৈলাসে ফেরার বার্তা।

এরপর রয়েছে মলিকবারির বনেদি বাড়ির পুজোর বিসর্জন । যেখানে রয়েছে নিয়ম মেনে প্রতিমা বিসর্জনের পর আমিষ খাবার আয়োজন।

বাদ পড়েননি সেলেবরা। দশমীর দিন বিভিন্ন প্যান্ডেলে দেখা গেলো অপরাজিতা , নুসরাত – যশ ও আরও অনেককে। ঢাক বাজানো থেকে সিঁদুর খেলা এইভাবেই তারাও জানিয়েছে মাকে বিদায়।

রামকৃষ্ণ বেলুড় মঠেও মাকে নিয়ম মেনে বিদায়। নাচে গানে মেতে উঠেছেন সন্ন্যাসীরাও। ঠাকুর বিসর্জন দেখতে ভিড় জমিয়েছেন দর্শনার্থীরা।

বিসর্জনের শেষে একটু মিষ্টি মুখ না করলেই নয়। তাই সাবেকি থেকে ফিউশন কে কাকে দেবে টেক্কা । মিষ্টির দোকানে বেড়েই চলেছে ক্রেতাদের লাইন।

এইভাবে একের পর এক বিসর্জনের মাধ্যমে মাকে বিদায় জানালেও পরের বছর আবার এই কটা দিনের অপেক্ষা বাঙালি করেই চলে।




Leave a Reply

Back to top button