কাদের জন্য হলো এই উপচে পড়া ভিড়! রামমন্দির কেনো হলো এত বিখ্যাত জেনে নিন
জেনে নিন কাদের জন্য রাম মন্দিরে হলো এত পরিমাণ ভিড়।

এবছর ২০২৩ এর দুর্গাপুজোর প্রতি মণ্ডপ তাদের নিজস্ব ভবন চিন্তা নিয়ে একে অপরকে প্রায় টক্কর দিয়েছেন । হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে এরই মধ্যে জনপ্রিয় পেয়েছে একটি মণ্ডপ যা দেখতে মানুষের ভিড় সামাল দেওয়া যেনো বেজায় জটিল হয়ে পড়েছিল। তবুও পুজোর দিন বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে জনস্রোত।
বলা হচ্ছে, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের বিখ্যাত ‘ ‘রামমন্দির’ কথা। যদিও এই রামমন্দির আগত বছরের জানুয়ারি মাসের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করবেন । তবু সেই রামমন্দিরের আদলেউদ্বোধনের আগেই সেটিকে বাংলার বুকে মন্ডপের আকার দিয়েছেন বিজেপি দলনেতা সজল ঘোষ । এই প্রথম যে পুজোটি উদ্বোধন করতে বাংলায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সঙ্গে এসছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা থেকে তেজস্বী সূর্যরাও।রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও এই রামমন্দির দর্শন করে গেছেন।
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের রামমন্দির কেমন হয়েছে সাথে বিকাল থেকে শুরু হওয়া লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো দেখার জন্য ৮-৮০ যেনো লিয়ে বাদ পড়েন নি। ভিড় ঠেলে দুর দুরন্ত দেখে শত শত মানুষের ভিড় যেনো চারিদিকে দেখ যাচ্ছিলো কালো মাথা।
তবে অযোধ্যার রামমন্দিরের আদলে বানানো এই দ্বিতীয় রামমন্দির বানানো এতটাও সহজ ছিল না । লেগেছে অনেক দিনের পরিশ্রম সাথে অনেক সময়। তা জানেন কি এই রামমন্দির পিছনের জাদুকর আসলে করা ? কাদের জন্য এত জনপ্রিয় হয় উঠলো এই রামমন্দির ?
কোনো কিছুর উপেক্ষা না করে দিনের পর দিন ধরে এই রামমন্দির গড়ে তুলেছেন মেদিনীপুরের শিল্পীরা। তারা পুজো শুরুর অনেক দিন আগে থেকেই কলকাতায় চলে এসেছিলেন ।কারণ এত বড় একটি মণ্ডপ তৈরি করতে লেগেছে বহুদিনের পরিশ্রম। সেই কারিগরদের মধ্যে কাঁথি থেকে এসেছেন স্বপন। তিনি জানিয়েছেন, আমরা প্যান্ডেল বাধার কাজ করি। সারাবছরই এই কাজ আমাদের চলতে থাকে। আরেক কারিগর রবীন্দ্র সিংহ জানালেন, ছোটবেলায় প্যান্ডেল বাধার কাজ শিখেছেন তিনি তাই সেই কাজই করছেন।
পুজোর আগেই বাড়ি ফিরে যান কারিগররা। বছরের বাকি সময়তেও এই ভাবেই তারা প্যান্ডেল বাধার কাজ করে থাকে। আর এই কাজ করার মাধ্যমে তাদের সংসার কোনরকম ভাবে চলে।
প্যান্ডেল থেকে কিভাবে তৈরি করেছিলেন তারা সে সম্পর্কে তারা জানিয়েছেন, মন্ডপের ভিতরের কারুকার্য ও বাইরের কারুকার্য করা হয়েছে ফোম কেটে। তারপর তাতে ডিজাইন করে রং লাগানো হয়েছে। এইভাবে নানান প্যান্ডেলের কাজ করে থাকেন পাশাপাশি দেশের বাইরে গিয়েও প্যান্ডেল বাধার কাজ করে থাকেন। ভিন রাজ্যে ও কাজের সূত্রে যান তারা।গুজরাতে বিখ্যাত খাটু শ্যামবাবার শৃঙ্গার করেন।