গভীর রাতে ইডির হাতে গ্রেপ্তার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
রাত ৩টের সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে। তাঁর বাড়ি থেকে পাওয়া গেছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। সিজিও কমপ্লেক্সে প্রবেশ করার মুহূর্তে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তাঁর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

কলকাতা: সারা রাজ্যে কার্নিভালের দিন বড় ধাক্কা খেলো বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০ ঘন্টা ম্যারাথন তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জানা গিয়েছে, রাত ৩টের সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে। তাঁর বাড়ি থেকে পাওয়া গেছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। সিজিও কমপ্লেক্সে প্রবেশ করার মুহূর্তে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “আমি এক বড় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। ভারতীয় জনতা পার্টি ভালো করেছে আমাকে শিকার করে।” এখানেই শেষ নয়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আরও জানান যে, এই সবকিছুর পেছনে হাত রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর বক্তব্য, আমার বিরুদ্ধে যে চক্রান্ত করা হয়েছে তাতে শুভেন্দু অধিকারী জড়িত। তবে এই গ্রেফতারকে ঘিরে এখনও অবধি কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ইডির কোনো আধিকারিকের। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত বাকিবুর রহমানের সঙ্গে কোন যোগসূত্র রয়েছে কিনা তার তদন্ত করতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেকের দুটি ফ্ল্যাটে আচমকা হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পাশাপাশি তার আত্মসায়ক অমিত দের নাগেরবাজারের দুটি ফ্ল্যাটেও হানা দেয় ইডি। এখানেই শেষ নয়, পরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পৈত্রিক বাড়িতেও এসে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
এই হানায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কিছু হলে তিনি ছেড়ে কথা বলবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “বালু সুগারের রুগী। ওর যদি কিছু হয় তাহলে এফআইআর দায়ের হবে বিজেপি ও ইডির বিরুদ্ধে।” এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী ইডির তল্লাশির পদ্ধতিকে কটাক্ষ করে জানান, “আমি শুনেছি হানা দেওয়ার নাম করে ইডি আধিকারিকরা বাড়ির জিনিসপত্র উল্টে দেয়। বাড়ির মেয়েদের কটা শাড়ি সেগুলোরও নাকি খোঁজ-খবর নেয়। এসব কিন্তু আমরা একেবারেই বরদাস্ত করবো না।”