কুনাল ঘোষের পূজোয় রাজ্যপালের উপস্থিতি ভালো চোখে নেননি শুভেন্দু অধিকারী
শুভেন্দু অধিকারী জানান, “সেটা ওনার ব্যাপার। উনি ব্যক্তিগতভাবে যেতেই পারেন। কিন্তু ওনার পদের কথাও ভাবা উচিত। ওনার একটা পদমর্যাদা রয়েছে। সেটা ওনার মাথায় রাখা উচিত ছিল।”

কলকাতা: সিভি আনন্দ বোসের আগেও রাজ্য বনাম রাজ্যপাল লড়াই লেগেই থাকত। সে কোনো কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে হোক কি রাজ্যের আইন ও শৃঙ্খলা নিয়ে। আদায়-কাঁচকলায় লেগে থাকে দুই পক্ষ। সিভি আনন্দ বোসের রাজ্যপাল হয়ে আসায়, এই লড়াই নেয় এক অন্য রূপ। এমন কি জল গড়ায় শীর্ষ আদালত পর্যন্তও, অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্ট অবধি। নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে লড়াইটা প্রথমে শুরু হয় রাজ্য নির্বাচন সংক্রান্ত হিংসা দিয়ে। তারপর আসে উপাচার্য নিয়োগ ও ১০০ দিনের টাকার লড়াই। সব মিলিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপাল লড়াইয়ে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। মাঝেমধ্যেই দুই পক্ষকে একে অপরকে সংবাদমাধ্যমে কটাক্ষ করতে দেখা যায়। এমনকি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে ‘বিজেপি প্রতিনিধি’ তকমা অবধি দেন।
তবে দুর্গাপূজার সময় কোন রাজনীতি নয়। দেখা যায় সম্পূর্ণ উল্টো একটি চিত্র। এক তৃণমূল প্রতিনিধির পূজোতে অথিতি হিসেবে উপস্থিত হন রাজ্যপাল। এই প্রতিনিধি আর কেউ নন, তিনি শাসকদলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। অষ্টমীর সকালে রামমোহন সম্মিলনীতে অঞ্জলি দেন তিনি। উল্লেখ্য, এই রামমোহন সম্মিলনী কুনাল ঘোষের পুজো হিসেবে বেশি জনপ্রিয়। রাজ্যপালের উপস্থিতিকে ঘিরে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, “এটার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। উনি ঘরোয়া পুজোতে যোগদান করতে চেয়েছিলেন। তাই আমরা ওনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম এবং উনি এসেছেন। এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার।”
তবে সিভি আনন্দ বোসের কুনাল ঘোষের পুজোতে উপস্থিতিকে একেবারেই ভালো চোখে নেননি বঙ্গ বিজেপি শিবির। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সব জানিয়ে দেন যে ওনার শাসকদলের প্রতিনিধির পুজোয়ে যাওয়া উচিত হয়নি। শুভেন্দু অধিকারী জানান, “সেটা ওনার ব্যাপার। উনি ব্যক্তিগতভাবে যেতেই পারেন। কিন্তু ওনার পদের কথাও ভাবা উচিত। ওনার একটা পদমর্যাদা রয়েছে। সেটা ওনার মাথায় রাখা উচিত ছিল।”
এখানেই শেষ নয়, বিরোধী দলনেতা আরও জানান, “উনি যদি আমার থেকে পরামর্শ চাইতেন, তাহলে আমি ওনাকে বলতাম বেলুড় মঠে গিয়ে পুষ্পাঞ্জলি দিতে। উনি যেখানে গেছেন, সেখানে সারদার টাকা জলে গেছে। তাই আমি মনে করি ওখানে ওনার যাওয়া ঠিক হয়নি।”