মুরলীধর সেন লেনের দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহার ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে

এই কাজে দিলীপ ঘোষ যে খুশি নন, তা বোঝা গিয়েছে তার কথাতেই

শুভঙ্কর, কলকাতা: ঘরছাড়া হলেন দিলীপ ঘোষ। মুরলীধর সেন লেনে তাঁর ও বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের সিদ্ধান্তেই এই কাজ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে তিনি যে একদমই খুশি নন, তা বোঝা গিয়েছে তার কথাতেই। দিলীপ ঘোষ জানান, “আমার ঘরের এসি মেশিন প্রথমেই খুলে নেওয়া হয়েছে। জানিনা ঘরটা ভেঙে ফেলা হয়েছে কিনা। তবে কলকাতায় গেলে অবশ্যই মুরলীধর সেন লেনের পার্টি অফিসে অবশ্যই যাবো। সেখানে গিয়ে আমি কর্মীদের সাথে দেখা করব। তবে এসব কিছু করার আগে যদি একবার আমাকে জানাত তাহলে খুব ভালো হতো।”

বিজেপি সূত্রের খবর, বিজেপির দুই নেতার ঘরভাঙ্গা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সংস্কার করার জন্যই। আপাতত সেখানে আইটি সেলের দফতর হবে বলেই জানা যাচ্ছে। এখন তাদের বসার জন্য কমন রুমটাই ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির অফিসে একতলায় ঘর বরাদ্দ রয়েছে দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা ও সুকান্ত মজুমদারের। তাঁরা নির্দিষ্ট ঘরে বসেই কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতেন। সেই ঘর থেকেই এবার ঘরছাড়া হতে চলেছেন দিলীপ-রাহুল। এমনটাই অভিযোগ জানিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন দলের সংখ্যালঘু মোর্চার প্রাক্তন সহ-সভাপতি শামসুর রহমান। শনিবার অফিসে যান দিলীপ ঘোষ। গিয়ে দেখেন তাঁর ঘরের এসির প্লাগ পয়েন্ট খোলা। এই বিষয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশও করেন দিলীপ বাবু। দুই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকেই ঘর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে দুই নেতার ঘরই অন্য কাজে ব্যবহার করা হবে। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের নির্দেশই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

BJP,Politics,Bengal,Dilip Ghosh,Rahul Sinha

এদিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, ‘কাউকে ঘরছাড়া করার আমাদের কোনও উদ্দেশ্য নেই। সংস্কারের জন্য সব ঘরই ভাঙা হবে। আমার ঘরও ভাঙা হবে। ওখানে আইটি সেলের বিশেষ বিভাগ গড়ে তোলা হবে।’উল্লেখ্য, রাজ্যে নির্বাচনগুলিতে লাগাতার পরাজয়ের পাশাপশি গোষ্ঠীদ্বন্দ ও ঐক্য অভাবে ভুগছে কেন্দ্রের শাসকদল এবং বাংলার বর্তমানের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। এমনকি দিল্লির হস্তক্ষেপেও মেলেনি সমস্যার সমাধান। এই ঘটনায় ফের অস্বস্তিতে পড়েছে বাংলার গেরুয়া শিবির। আর হাতে গোনা কটা মাস বাদেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই দলের এমন হাল চাপে রাখবে বঙ্গ ও কেন্দ্রীয় বিজেপি দুপক্ষকেই।




Leave a Reply

Back to top button