র্যাগিং আটকানোই লক্ষ্য, বৃহস্পতিবার যাদবপুরে ইসরোর প্রতিনিধি দল, হস্টেল যাওয়ার সম্ভাবনা
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নতমানের প্রযুক্তি কতটা কাজ করবে সেটাই খতিয়ে দেখবে ইসরোর প্রতিনিধি দল। দেখা হবে, ভিডিও অ্যানালিটিক্স, টার্গেট ফিক্সিংয়ের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে কিনা।

যাদবপুরে আসছে ইসরোর প্রতিনিধি দল। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধিদের আসার কথা। ইতিমধ্যেই অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। র্যাগিং রুখতে ইসরোর কীভাবে সাহায্য করতে পারে সেই নিয়ে দু’পক্ষের আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, ইসরোর প্রতিনিধি দল হস্টেলেও যেতে পারে বলে খবর।
জানা গেছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নতমানের প্রযুক্তি কতটা কাজ করবে সেটাই খতিয়ে দেখবে ইসরোর প্রতিনিধি দল। দেখা হবে, ভিডিও অ্যানালিটিক্স, টার্গেট ফিক্সিংয়ের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে কিনা। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি নিয়েও বৈঠক হতে পারে। স্যাটেলাইট মারফত ইমেজ সেন্সিং বা ফোন নম্বর মারফত ট্র্যাক করার বিষয়গুলোও বিবেচনা করে দেখবে তারা।
এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেছেন, ‘আমাদের কী কী প্রয়োজন তা ইসরোকে জানিয়েছি। আমাদের এখানে প্রায় ১৫ হাজার স্টেক হোল্ডার রয়েছে। ইসরো আমাদের বলেছে, মেন গেট দিয়ে কে ঢুকছে কে বেরচ্ছে, সেটা শনাক্ত করতে কোনও অসুবিধা হবে না। তবে বেশ কিছু সমস্যাও রয়েছে’।
চন্দ্রযান ৩-এর সফল অবতরণের পরই শুভেচ্ছা জানাতে ইসরো প্রধানকে ফোন করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে যাদবপুর এবং রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র্যাগিং রুখতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যাপারে ইসরো সাহায্য করতে পারবে কিনা, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এর মধ্যেই অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হয় বুদ্ধদেব সাউকে।
একইসঙ্গে হায়দ্রাবাদের অ্যাডভান্সড ডেটা প্রসেসিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গেও এই নিয়ে আলোচনা করেছেন রাজ্যপাল। এই বিষয়টি ফলপ্রসূ করতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে দায়িত্ব দেন তিনি। এরপরই ইসরোর সঙ্গে একটি বৈঠক করেন বুদ্ধদেব সাউ। সেখানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কোন ধরণের প্রযুক্তি যথাযথ হবে, সেই নিয়ে আলোচনা হয়।