তৃণমূলের বিরুদ্ধে এবার দিল্লিতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাবেন চাকরিপ্রার্থীরা
২ অক্টোবর তারা দিল্লির যন্তর মন্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন।

শুভঙ্কর, কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপে ফেলতে গিয়ে এবার পাল্টা চাপে পড়লেন বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের মাঝে এবার রাজধানীতে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ করতে চলেছেন ২০০৯ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রাথমিকে শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর দফতরে ডেপুটেশন জমা দেবে বলে জানা গিয়েছে।
লাগাতার প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দেখিয়েও হয়নি সমস্যার সমাধান। অবশেষে তাঁরা বেছে নিলেন বৃহত্তর আন্দোলনের পথ। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, তারা সব বিষয়ে পরিষ্কারভাবে উত্তীর্ণ হওয়া সত্বেও তাদের দিকে দেখছেনা রাজ্য সরকার। করছেনা তাদের নিয়োগ। এবার সেই কারণেই ২ অক্টোবর তারা দিল্লির যন্তর মন্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন। এমনকি দরকার পরলে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর দফতরে ডেপুটেশন জমা দেবেন তারা। আজ সকাল ৮:১৫তে তারা পূর্বা এক্সপ্রেস ধরে দিল্লিতে পৌঁছনোর জন্য। এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “বারংবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও দেখা করতে পারিনি। এমনকী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করতে চেয়ে দেখা করতে পারিনি। তাই ঠিক করেছি এবার আমরা দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর ধরনা মঞ্চেও যাবো।”
প্রসঙ্গত, বাংলাকে বঞ্চনার প্রতিবাদে এবং ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখার জন্য সমস্ত বঞ্চিত শ্রমিকদের নিয়ে দিল্লি যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গিয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শ্রমিকদের কৃষি ভবনে যাওয়ার কথা। কিন্তু তারই মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআই। ২ ও ৩ অক্টোবর রাজধানীতে একটি বৃহত্তর আন্দোলন করার কথা তৃণমূলের আর তারই মাঝে ৩ অক্টোবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে ইডি। যদিও তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন ওদিন তিনি দিল্লিতেই থাকবেন কর্মসূচিতে। এমনকি লিপ্স এন্ড বাউন্ডস মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা-বাবাকেও তলব করা হয়। যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার।