“ওঁকে অসহ্য লাগে!” মৃত্যুর পরও বাংলার বুদ্ধিজীবি মহলে মিলল না যোগ্য সম্মান

আবারও এক নক্ষত্রপতন। গত মঙ্গলবার ৩১ মে গুরুদাস কলেজের ‘ কেকে ‘ লাইভ শো অনুষ্ঠিত হয়েছিল যথা সময়েই । তবে কেকের শো শেষে ঘটলো অঘটন। হঠাৎই কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়োগের পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা । মৃত্যুর আসল ঘটনা ঘিরে এখনও ধোঁয়াশা। সারা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শোকবার্তা প্রকাশ নেটিজেনদের। এছাড়াও কলেজ কর্তৃপক্ষের ম্যানেজমেন্ট টিম নিয়ে উঠেছে নানা ধরনের প্রশ্নও। শোকস্তব্ধ গোটা দুনিয়া। তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেনা ৯০ দশকের জেনারেশন। তিনি এই নিয়ে কলকাতায় এই প্রথমবার দুটো লাইভ শো করেছিলেন পরপর।
উল্লেখ্য’ কেকে ‘ কলকাতায় লাইভ শো করার খবর প্রত্যেকটি জেনারেশনের কাছে খুবই আনন্দপূর্বক হলেও এই নিয়ে বেশ রোষ প্রকাশ করেছিলেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী সহ লেখক শ্রীজাত। কেকের ফ্যানবেস নিয়ে রাগের সুর তুলেছিলেন এনারা। রূপঙ্কর বাগচী ফেসবুক লাইভে এসে কেকের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন বহু অপমানজনক কথাও। তার মধ্যে বিশেষ ভাবে কটাক্ষ করেছিলেন তার কলকাতায় আসা নিয়ে। তিনি বলেন ” কেকে আবার কে? রাঘব-ইমন আমরা অনেক বেশি ভাল গাই’। রূপঙ্করের এই মন্তব্যে বিতর্ক ছড়িয়েছে নেটপাড়ায়। তিনি আরও বলেন কলকাতার সিঙ্গার নিয়ে কেউ তো এরকম শোরগোল করেনা যতটা মুম্বাইয়ের সিঙ্গারদের নিয়ে করা হয়। বারংবার একটাই কথা বলেছেন তিনি বাংলাকে ভালোবাসুন। কেকে এর থেকে ঢের ভালো এখানকার গায়ক গায়িকারা গায়।
অন্যদিকে শ্রীজাত কেকের উদ্দ্যেশ্যে লেখেন, ‘কেকে-র গান আমার অসহ্য লাগে। গত ১৬ বছর ধরে অসহ্য লাগে। সেই ২০০৬-এর ডিসেম্বর থেকে আজ অবধি কেকে-র গান আমি সহ্য করতে পারি না। ক্যাব-এর রেডিও-তে হঠাৎ বেজে উঠলে চালককে তৎক্ষণাৎ বলি চ্যানেল সরিয়ে দিতে, কোনও জমায়েতে হুট করে বেজে উঠলে সন্তর্পণে উঠে বাইরে চলে যাই। এতটাই অসহনীয় আমার কাছে, কেকে-র গান, গত ১৬ বছর ধরে। টানা ১৬ বছর, আমি কেকে-র গান শুনিনি। সত্যি বলতে কী, পালিয়েছি তাঁর কাছ থেকে’।