লিস্টে এখনও ২০ জন আছে বিস্ফোরক মন্তব্য কুণালের
তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “এটা তো সবে শুরু। দেখতে থাকুন আগে কি হয়। সবই তো মাত্র একজন এসেছে। আরো ২০ জন লাইনে রয়েছে। আর কটা মাস যেতে দিন আপনারা নিজেরাই দেখতে পাবেন সবকিছু। দেখবেন ক’জন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করে।”

কলকাতা: রাজ্য রাজনীতির অবস্থা এই মুহূর্তে যুদ্ধক্ষেত্রের মতো। একটু বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে দাবা খেলার মতো। চলছে সমস্ত রাজনৈতিক দলের বুদ্ধির লড়াই। একদিকে বিজেপি উঠে পড়ে লেগে রয়েছে তৃণমূল সরকারকে পরাজিত করতে। অন্যদিকে ডিফেন্সিভ মোডে রয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আবার আরেক প্রান্তে রয়েছে জোট, অর্থাৎ বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ জোট। তবে জোটের খেলা বেশি চাপের চলছে। কারণ একদিকে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে আবার জাতীয় স্তরে এই তৃণমূল কংগ্রেসকেই সঙ্গী করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে তারা। সুতরাং এ ‘জলে গেলে কুমির এবং ডাঙ্গায় গেলে বাঘ’ এর মতো পরিস্থিতি। তবে এরই মাঝে রাজ্য রাজনীতিতে যেই বিষয়টি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর ভুগিয়েছে সবাইকে, বিশেষ করে প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে, সেটি হলো বিধায়কদের দল পাল্টানো। সম্প্রতি, বাঁকুড়ার কোতলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালি প্রতিহার গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন, যা অস্বস্তি বাড়িয়েছে বঙ্গ বিজেপির। এবার এই নিয়েই বড় মন্তব্য করে বসলেন শাসকদলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ।
তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “এটা তো সবে শুরু। দেখতে থাকুন আগে কি হয়। সবে তো মাত্র একজন এসেছে। আরও ২০ জন লাইনে রয়েছে। আর কটা মাস যেতে দিন আপনারা নিজেরাই দেখতে পাবেন সবকিছু। দেখবেন ক’জন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করে।”
এখানেই শেষ নয়, তৃণমূল মুখপাত্র আরও জানান, “বিজেপি ইডি-সিবিআই লাগিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। ভাবছি তৃণমূলকে ওইভাবে দমিয়ে রাখা যাবে। কিন্তু ওই দমিয়ে রাখার সঙ্গে মানুষের আশীর্বাদ বা গণতন্ত্রের সিদ্ধান্তের কোন মিল নেই। সাধারণ মানুষ এখনও তৃণমূলের পাশেই আছে। তৃণমূল যে পাল্টা মার বিজেপিকে দেখাবে সেটা হবে গণতন্ত্রের মার। সেটা হবে তৃণমূলের প্রতি মানুষের ভালোবাসার মার। শান্তিপূর্ণভাবে ও গণতান্ত্রিকভাবে কিভাবে বিজেপিকে বিদায় দিতে হয় সেটা তৃণমূল দেখাবে খুব শীঘ্রই।” তবে কুনাল ঘোষের এই মন্তব্য রীতিমত চাপে ফেলেছে বিজেপিকে। বঙ্গ বিজেপি এখন চিন্তায়, আর কারা দল ছাড়তে চলেছে?