ফের শুভেন্দুর মুখে নওশাদের প্রশংসা
বিরোধী দলনেতা জানান, “লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলা থেকে অনেক সিট পাবেন নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। আইএসএফ আমাদের বিরোধী। ওদের আমরা বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Polls) হারিয়েছি। নন্দীগ্রামে (Nandigram) দাঁড়িয়েছিল ওখানেও হারিয়েছি। তবে নওশাদ হার মানার ছেলে নয়। ওকে মিথ্যে মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছিল।”

কলকাতা: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Polls)। তার আগেই শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলির ঘুঁটি সাজানোর খেলা। জাতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে ময়দানে নেমেছে ইন্ডিয়া জোট (INDIA Alliance), তবে বাংলার (West Bengal) ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সমীকরণটা একটু উল্টো। জাতীয় স্তরে তৃণমূলকে (TMC) সিপিআইএম (CPIM) ও কংগ্রেসের (Congress) তরফ থেকে সমর্থন দিতে দেখা গেলেও, রাজ্যের ক্ষেত্রে তারা একে অপরের চরম শত্রু। এমনকি তৃণমূল বহুবার দাবি করেছে, গোপনে হাত মিলিয়েছে সিপিআইএম-কংগ্রেস জোট ও বিজেপি। এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মন্তব্য এমনই ইঙ্গিত দিলো। সমর্থন করলেন সিপিআইএম ও কংগ্রেসের আরেক জোটসঙ্গী আইএসএফকে (ISF)। ফের প্রশংসা করলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর (Naushad Siddiqui)।
এক সাক্ষাৎকারে বিরোধী দলনেতা জানান, “লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলা থেকে অনেক সিট পাবেন নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। আইএসএফ আমাদের বিরোধী। ওদের আমরা বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Polls) হারিয়েছি। নন্দীগ্রামে (Nandigram) দাঁড়িয়েছিল ওখানেও হারিয়েছি। তবে নওশাদ হার মানার ছেলে নয়। ওকে মিথ্যে মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছিল।” প্রসঙ্গত, এর আগেও নওশাদ সিদ্দিকী প্রশংসা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা জানিয়েছিলেন, “সিপিআইএম ও কংগ্রেসের মতো সেটিংয়ের রাজনীতি আইএসএফ করেনা। নওশাদ সিদ্দিকী পুরো নিষ্ঠার সঙ্গে লড়াই করেন।” যদিও পাল্টা ভাঙ্গরের বিধায়ক বলেন, “বিজেপির কোনোরকমের সমর্থনেরই আমাদের দরকার নেই। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনরকম সহযোগিতাই আমরা চাইনা।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যায় ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) পরাজিত করবেন। তিনি বলেছিলেন, “দরকার পড়লে অন্য লোককে দাঁড় করিয়ে আমি ডায়মন্ড হারবারে বিজেপিকে জেতাবো এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরাবো।” এরপরের দিন যদিও নওশাদ সিদ্দিকী বলেছিলেন, “আমার দল যদি আমায় অনুমতি দেয়, তাহলে ডায়মন্ড হারবার থেকে আমিই প্রার্থী হয়ে দাঁড়াবো। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন করেই ছাড়বো।”