যাদবপুরের ছোঁয়া! মেডিক্যাল, আরজিকরের হস্টেল থেকে বিপুল মদের বোতল উদ্ধার
‘ডাক্তারি পড়ুয়া বা ডাক্তার নয়, এমন অনেকের বিরুদ্ধেই এই হস্টেলের ঘর দখল করে থাকার অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে’।

সব পাখিই মাছ খায়, দোষ হয় শুধু মাছরাঙার! মেডিক্যাল কলেজ, আরজিকর থেকে এন্তার মদের বোতল উদ্ধারের পর এই আপ্তবাক্যটাই বলছেন অনেকে। শুধু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দোষারোপ কেন? রাজ্যের প্রায় সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থাটা কমবেশি একই।
সম্প্রতি যাদবপুরের এক ছাত্রীর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ক্যাম্পাসে মদ, সিগারেট, গাঁজা খাওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। ক্যামেরার সামনে বলছেন, ‘ক্যাম্পাস আমাদের সেকেন্ড হোম। বাড়িতে মদ, গাঁজা খেতে পারলে ক্যাম্পাস পারব না কেন’?
ছাত্রীর এমন দাবি নিয়ে বিতর্ক চলছে। অনেকেই ‘বুদ্ধিভ্রষ্ট’ বলে কটাক্ষও করছেন। কিন্তু আসল ব্যাপার হল, ওই ছাত্রী সোজাসুজি যা বলেছেন, অনেকেরই তা মনের কথা। মেডিক্যাল কলেজ ও আরজিকরে অ্যানাটমি বিল্ডিং থেকে বিয়ারের ক্যান, মদের বোতল উদ্ধারের পর এমন কথা বলছেন অনেকেই।
অর্থাৎ ডাক্তারি হস্টেলেও এমন ঘটনা নতুন নয়। আরজিকরের এক শিক্ষক চিকিৎসক বলেন, ‘ডাক্তারি পড়ুয়া বা ডাক্তার নয়, এমন অনেকের বিরুদ্ধেই এই হস্টেলের ঘর দখল করে থাকার অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে’। কর্তৃপক্ষও বলছেন, ‘হস্টেলে মদের আসর বসিয়ে পড়াশোনা নষ্টের অভিযোগ অনেকদিন ধরেই উঠছে’।
মেডিক্যাল কলেজ নিয়েও কমবেশি একই অভিযোগ। তবে পড়ুয়া থেকে কর্তৃপক্ষ কেউই এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, হস্টেলের কয়েকজন মত্ত পড়ুয়ার বিরুদ্ধে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে মদ কিনতে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল। ওই ছাত্র তা আনতে অস্বীকার করলে র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। তবে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে ব্যাপারটা মিটে গেছে।
নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক ছাত্র জানাচ্ছেন, হাসপাতালে প্রায়ই মদের আসর বসে। বেশিরভাগ পড়ুয়াই ব্যাপারটা পছন্দ করেন না। কিন্তু প্রতিবাদ করার মতো সাহসও নেই।