নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির অফিসে হাজিরা রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদ রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নির্ধারিত সময়ের আগেই ইডি দপ্তরে পৌঁছে যান তিনি।

শুভঙ্কর, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির সল্টলেকের অফিসে, অর্থাৎ সিজিও কমপ্লেক্সে, পৌঁছে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই বড় দুর্নীতির মামলায় প্রথমবার জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে। হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সকাল ১১টার মধ্যে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই তিনি হাজিরা দিয়ে দেন ইডি দফতরে। জানা গিয়েছে, সকাল দশটার মধ্যে পৌঁছে যান তিনি। তাঁর হাজিরা ঘিরে আয়োজন করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার।
অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে অফিস চত্বরে। মোতায়েন করা হয়েছে মহিলা পুলিশও। রাজনৈতিক মহল মনে করছেন আজ ইডি চাপে ফেলতে পারে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। করা হতে পারে বিভিন্ন প্রশ্ন। চিত্র মারফর জানা গিয়েছে তাকে প্রশ্ন করার জন্য উপস্থিত থাকবেন একজন মহিলা তদন্তকারী সহ তিনজন তদন্তকারী আধিকারিক। ইতিমধ্যেই, তাঁর হাজিরা দেওয়া ঘিরে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। তুঙ্গে বিজেপি বনাম তৃণমূল রাজনৈতিক লড়াই। বলে রাখা ভালো, রাত ১২টার আগেই সমস্ত নথি জমা দিয়ে দেওয়া হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যে ইডি ও সিবিআই হানা ও তদন্ত অব্যাহত। ইতিমধ্যেই এই দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে কিছু মিডিলম্যানকেও যারা এই দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আর্থিক লেনদেন করেছেন। লাগাতার গ্রেফতার ও জেরার পর উঠে আসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিপ্স এন্ড বাউন্ডস সংস্থার নাম। তারপরই নতুন মোড় নেয় এই মামলা। লিপ্স এন্ড বাউন্ডস অফিসে হানা দিয়ে এক ইডি আধিকারিক ১৬টি বিতর্কিত ফাইল ডাউনলোড করেন যেটা সংস্থার সঙ্গে কোনরকম ভাবেই যুক্ত নয়। এবং তা ঘিরে লালবাজারে অভিযোগ দায়ের করা হয় ইডির বিরুদ্ধে। যদিও সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করে নেন সেই ইডি আধিকারিক। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত যদিও আদালত জানিয়ে দেন এই মুহূর্তে ইডির বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া যাবেনা।