ইডির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নালিশ করতে চলেছেন সুকান্ত মজুমদার

বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণ আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানাবো

শুভঙ্কর, কলকাতা: এই মুহূর্তে শিরোনামে সর্বদাই দেখা যায় বাংলার যুবরাজ বা বাংলার যুবদের আইকন, অর্থাৎ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্যে চলছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ও সিবিআইয়ের হানা। দুদিন অন্তর অন্তর তলব করা হচ্ছে তৃণমূলের উচ্চস্তরের নেতা ও মন্ত্রীদের। তবে যতবারই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হয়েছে, ততবারই তিনি হাজিরা দিয়েছেন এবং হাজিরা শেষে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে। কিছুদিন আগেও তিনি তাই করেছেন।সবচেয়ে বড় ব্যাপার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে ঘিরে কলকাতা হাইকোর্টের মামলাগুলিতে মাঝেমধ্যেই ভৎসিত হয় কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। গতকালও বিচারপতি অমৃতা সিনহা লিপস এন্ড বাউন্স মামলায় ভৎসনা করেছেন ইডিকে।

তবে এবারে দেখা গেল এক অন্যরকম চিত্র। এবার ইডির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্বয়ং বাংলার গেরুয়া শিবির। কি এমন হলো? জানা গিয়েছে, ইডির বিরুদ্ধে নালিশ করতে চলেছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কি কারনে নালিশ? লাগাতার তলব সত্বেও ফল শূন্য সেই কারণে ইডির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠির মারফত নালিশ জানাবেন। সোমবার সাংবাদিকদের তিনি জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কোন ইডি অফিসার না ২০১৪ সালের পর জন্মেছেন বা ২০১৪ সালের পর চাকরিতে যোগ দিয়েছেন এবং বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণ তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানাবেন।

Abhishek Banerjee,Sukanta Majumdar,ED,TMC,BJP

এখানেই শেষ নয়। তিনি এই বিষয়ে কেন্দ্রের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেছেন। তিনি জানান, তারা আদালতের কাছে আবেদন করবেন যদি কোন ইডি অফিসারের কাজের উপর সন্দেহ হয়, তাহলে আদালত যেন কড়া পদক্ষেপ নেয়। এমনকি তিনি এটাও জানান যে কংগ্রেস আমলের সঙ্গে যুক্ত কোনো ইডি অফিসার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঁচানোর চেষ্টা করতেই পারে কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করবেনা। উল্লেখ্য, বিচারপতি অমৃতা সিনহা বা বঙ্গ বিজেপি নয়, এর আগে এডিট তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।




Leave a Reply

Back to top button