নবীন পল্লির দুর্গা পুজোয় হাজির হবে হাঁসজারু, ভীষ্মলোচন শর্মারা, ‘আবোল তাবোলের’ শতবর্ষে সুকুমার প্রণাম

এ কবিতার সঙ্গে বাঙালির নাড়ির টান। আজন্মকালের সম্পর্ক।

আয়রে ভোলা খেয়াল খোলা স্বপন দোলা নাচিয়ে আয়/ আয়রে পাগল আবোল তাবোল মত্ত মাদল বাজিয়ে আয়…

এ কবিতার সঙ্গে বাঙালির নাড়ির টান। আজন্মকালের সম্পর্ক। হ্যাঁ, বাঙালিকে ‘ভাবায় সুকুমার রায়’। ২০২৩ সাল আবোল তাবোলের শতবর্ষ। সেই উপলক্ষ্যেই এবার হাতিবাগানের নবীন পল্লির পুজোর থিম ‘১০০ বছরে আবোল তাবোল’। এ যেন গঙ্গা জলে গঙ্গা পুজো।

মৃত্যুশয্যায় আবোল তাবোল বইটির সম্পাদনা করেন সুকুমার। বইটিকে সাজিয়ে গুছিয়ে প্রেসে পাঠানোর ঠিক সাত দিন পর মৃত্যু হয় তাঁর। ১৯২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর। এই বই পা দিল ১০০ বছরে। রামগরুরের ছানা, ভীষ্মলোচন শর্মাদের যদিও বয়স বাড়েনি। তাঁরা চির নবীন। আট থেকে আশির মনে সদা তাজা। নবীন পল্লির থিমে এবার জায়গা করে নেবে সুকুমারের সেই সব অমর সৃষ্টি।

Sukumar Roy,Durga Puja,Abol Tabol,Hatibagan Nabinpally,Kolkata

কলকাতা প্রেস ক্লাবে সেই ঘোষণাই করলেন নবীন পল্লির পুজো উদ্যোক্তারা। উত্তর কলকাতার ছোট্ট গলির মধ্যে হয় এই পুজো। এ বছর পা দেবে ৯০ বছরে। নব্বই বছরে আবোল তাবোলের সেঞ্চুরির উদযাপনের পরিকল্পনা নিয়েছেন তাঁরা। ১৯ সেপ্টেম্বর উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর প্রেস ইউ রায় অ্যান্ড সন্স থেকে প্রকাশিত হয়েছিল আবোল তাবোল। তাই নিজেদের থিমের ঘোষণা করতে এই দিনটিকেই বেছে নেন তাঁরা।

পুজো কমিটির এক সদস্য জানান, ‘আমরা এই থিম এমন ভাবে ফুটিয়ে তুলতে চাই যাতে বাচ্চারা বাড়ি গিয়ে আবোল তাবোল পড়তে চায়। যাঁদের পড়েননি তাঁরা তো পড়বেনই, যারা পড়েছেন তাঁরাও একবার পড়তে চাইবেন’। শুধু মণ্ডপ নয়, দুর্গা প্রতিমাতেও আবোল তাবোল থিমের ছোঁয়া থাকবে। লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মাধ্যমেও ফুটিয়ে তোলা হবে সুকুমারের বিভিন্ন চরিত্রকে।

সুকুমার রায়ের নাতি সন্দীপ রায় বর্তমানে ভিন রাজ্যে। ফেলুদা ছবির কাজে ব্যস্ত। উদ্যোক্তারা জানালেন, তিনিও একদিন এই পুজো দেখতে আসবেন বলে কথা দিয়েছেন। শৈশব এখন স্মার্টফোনে মুখ গুঁজে। সেখানে এই মণ্ডপ তাঁদের ফের বইমুখী করতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার।




Leave a Reply

Back to top button