জানেন কি কুমারটুলি সার্বজনীন পুজোর ইতিহাস?
কুমারটুলি সার্বজনীন পুজো নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পুজো। জেনে নিন এর ইতিহাস।

শুভঙ্কর, কলকাতা: আর মাত্র কটাদিন। তারপরেই পুজোপ্রেমীদের প্রিয় উৎসব দুর্গাপুজো। প্রতিবছরই পুজোর সময় আলাদা রকমের একটা রূপ নেয় বাংলা ও বাঙালি। তবে দেবী দুর্গার মূর্তির চেয়েও যেটা বেশি আকর্ষিত করে পুজো প্রেমীদের, সেটি হলো পুজোর প্যান্ডেল ও ঝাড়। কলকাতা হোক কি গোটা বাংলা, সব জায়গাতেই কিছু বিশেষ পুজো থাকেই যেখানে মানুষের ভিড় হয় দেখার মতো। যেমন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, বোসপুকর, চেতলা, শ্রীভূমি, লেকটাউন, একডালিয়া, কলেজ স্কোয়ার, ইত্যাদি। প্রতিটা পুজোরই কিছু না কিছু ইতিহাস থেকে। তেমনি রয়েছে এই পূজোটিরও।
কুমারটুলি সর্বজনীনের মন্ডপের পুজো সেই এলাকার মানুষের অত্যন্ত প্রিয় একটি পুজো। এই পুজোতে জড়িয়ে রয়েছে সেখানকার বাসিন্দা সহ সমগ্র পুজোপ্রেমীদের আবেগ। কিন্তু এই পুজো ঘিরেও রয়েছে একটি ইতিহাস। জানেন কি সেই ইতিহাস কি? এই পুজো ভারত মাতার এক বীর সন্তানের পুজো বলে বেশি পরিচিত। সেই বীর সন্তান হলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। জানা গেছে, ১৯৩৮ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে এই পুজোর সভাপতি করা হয়। তারপর থেকেই এই পুজো নিয়েছে এক অন্যরকমের রূপ। তবে যে বছর নেতাজিকে সভাপতি বানানো হয়, সেই বছরই আগুনে পুড়ে যায় প্রতিমা। জানা গিয়েছে, পরে যদিও পঞ্চমীর দিন এক রাতেই প্রতিমা তৈরি করেন গোপেশ্বর পাল। তবে এবারে কুমারটুলি সর্বজনীনের মন্ডপের পুজোর থি
উল্লেখ্য, আর দিন দশ বাদেই শুরু হবে দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা বাংলাকে। প্রতিটি জায়গায় মোতায়ন করা হয়েছে পুলিশ এবং লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। প্রতিবারের মতো এবারেও আশা করা হচ্ছে বাড়বে রাস্তায় পুজোপ্রেমী জনতার সংখ্যা। তবে তা সত্ত্বেও আবহাওয়ার জন্য কিছুটাও মানসিক চাপে রয়েছে বঙ্গবাসী। আর সেই ভয়ের কারণ হলো বৃষ্টি। এখন সকলের একটাই কামনা ও প্রার্থনা যে বৃষ্টি যেন পুজোর আনন্দ মাটি না করে দেয়।