কালীপুজোকে ঘিরে জোর কদমে প্রস্তুতি বারাসাত ও নৈহাটিতে
এবারে বারাসাতের কালী পুজোতে নজর কাড়তে চলেছে সন্ধানী ক্লাব। এবারে তাদের পুজোর থিম ইন্দোনেশিয়ার বালির মন্দির।

উত্তর ২৪ পরগনা: চোখের নিমিষেই শুরু হলো আর চোখের নিমিষেই শেষ হলো বাঙালির প্রিয় দুর্গাপুজো। দেখতে দেখতেই কেটে গেল আনন্দের এই কটা দিন। আলোয় ভরেছিল গোটা বাংলা। ভিড়ে ভিড় ছিল সমস্ত জেলার রাজপথ। দেবী দুর্গার বিদায় বেলায় সবারই চোখ থেকে পড়েছিল জল। সবারই মনে তখন একটাই বক্তব্য চলছিল ‘আবার এসো মা’। বাঙালির আবেগ জড়িয়ে থাকে এই পূজো ঘিরে। তবে ফের বাঙ্গালীদের মুখে আসতে চলেছে চওড়া হাসি। দুর্গাপূজা শেষের পর শীঘ্রই শেষ হলো লক্ষ্মীপূজো। এবার গোটা বাংলা প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্যের আরেকটি বড় পুজোর জন্য। সেটি হলো কালীপুজো। তবে এই পুজোতে শুধু আলোয় ভরে থাকেনা বাংলা। পাশাপাশি দেখা যায় বাজিরও খেলা। কালি পটকা থেকে শুরু করে রং মশাল, ফুলঝুরি, ইত্যাদি সবকিছুই দেখতে পাওয়া যায় এই উৎসবে।
কালীপুজোকে ঘিরে জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে কলকাতায়। তবে শুধু কলকাতায় নয়, এখন দ্রুত গতিতে প্রস্তুতি চলছে অন্যান্য জেলায়ও। সবথেকে নজর কারা প্রস্তুতি চলছে নৈহাটি ও বারাসাতে। এবারে বারাসাতের কালী পুজোতে নজর কাড়তে চলেছে সন্ধানী ক্লাব। এবারে তাদের পুজোর থিম ইন্দোনেশিয়ার বালির মন্দির। এই পূজোর সঙ্গে যুক্ত এক সদস্য থেকে জানা গিয়েছে যে এই মন্ডপটি লোহা ও প্লাই দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবং বিশ্বকর্মা পূজোর পর থেকেই এর কাজ শুরু হয়ে গেছে। অন্যদিকে বারাসাত কেএমসি রেজিমেন্ট ক্লাবের এবার পুজোর থিম ত্রিদেব। প্রায় আড়াই মাস ধরে এই প্যান্ডেলের কাজ চলছে। এই পুজোর এক সদস্যের বক্তব্য, “এই প্যান্ডেল তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ফাইবার গ্লাস। এছাড়া পাথরও ব্যবহার করা হয়েছে।” অন্যদিকে একমাস ধরে কাজ চলছে বারাসাতের বিদ্রোহী ক্লাবের। এবারে তাদের থিম স্ট্যাচু অফ লিবার্টি।
অন্যদিকে কালীপুজোর ক্ষেত্রে নৈহাটির জনপ্রিয়তাও চরম। এখানে বিশেষ আকর্ষণ নৈহাটির বড়মার পুজো। এটি ১০০ বছরেরও বেশি পুরনো পুজো এবং আগে ছোট মন্দিরে পূজো হতো। আগে কালীপুজোর দিন মাটির মূর্তিতে পুজো করা হতো এবং অন্যান্য দিনগুলিতে ছবিতে। তবে এবারের কালীপূজাতে নতুন রূপে ভক্তদের সামনে আসছে বড়মা। কষ্টিপাথর দিয়ে তৈরি হয়েছে এই মূর্তি। ট্রাস্টি বোর্ডের দাবি মূর্তি সাজানো হয়েছে ১০০ ভোরির সোনা দিয়ে এবং রবিবার হয়েছে উদ্বোধন।
এই দুই জায়গায় মা কালীর পুজো ঘিরে উন্মাদনা চিরকালই থাকে তুঙ্গে। প্রতিবছরই হয় ভিড়। এবার দেখার বিষয়, এই বছর মায়ের ভক্তরা কতটা উপভোগ করেন এই প্যান্ডেল।