মহা সপ্তমীতে জেলায় জেলায় হতে চলেছে রেকর্ড ভিড়
সকাল হতেই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড় জমলো চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে বড় পুজোগুলির স্থানে উপচে পড়া জনতার ঢল নেমেছে। পুলিশদের রীতিমতো ভিড় সামলাতে হাবুডুবু খেতে দেখা যাচ্ছে।

কলকাতা: বাঙালির ব্যস্ত জীবনে স্বস্তি দেয় তাদের প্রিয় উৎসব, অর্থাৎ দুর্গাপুজো। পুজোর পাঁচটা দিন বঙ্গবাসীকে দেখা যায় এক অন্যরূপে। শুধু বঙ্গবাসী নয়, পাল্টে যায় গোটা বাংলার চেহারা। এমনি সময় বাঙালি বাড়িতে টিভি বা কম্পিউটারে ব্যস্ত থাকলেও, পুজোর এই পাঁচটা দিন জেলার রাজপথে তারা নিজেদের একটা আলাদা জীবন বাঁচে। গোটা শহর ছেয়ে যায় আলোয়। পুজোর উদ্বোধন হতে তখনই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ভিড়। আর ষষ্ঠী বা সপ্তমী আসতেই রাস্তায় থাকেনা আর কোন হাঁটার মতো জায়গা। প্রতিবছরই হয় একই হাল। তবে এই আনন্দের মাঝে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয় ট্যাক্সি চালক থেকে বাস চালক সকলকেই।
আজ সপ্তমী। পুজো উদ্বোধনের পর থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল কলকাতা সহ বাকি জেলার রাজপথে। পঞ্চমী থেকে এই ভিড় নিয়ে নেয় এক অন্য আকার। এতটা পরিমাণ ভিড় বৃদ্ধি পায় যে শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার জন্য মোতায়ন করা পুলিশদের চাপে পড়তে হচ্ছে। আজ সপ্তমী সকালেও একই দৃশ্য দেখা গেলো কলকাতায়। সকাল হতেই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড় জমলো চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে বড় পুজোগুলির স্থানে উপচে পড়া জনতার ঢল নেমেছে। পুলিশদের রীতিমতো ভিড় সামলাতে হাবুডুবু খেতে দেখা যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, সূর্যাস্তের পর এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। তার উপর আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে নবমী ও দশমী বৃষ্টি পড়বে বাংলায়। তাই এই সতর্কবার্তাকে মাথায় রেখে আগে থেকেই মানুষ প্যান্ডেল হপিং পর্ব শেষ করছে।
উল্লেখ্য, এবারে পুজোতে যাতে সাধারণ মানুষকে কোনরকমের কোন সমস্যায় না পড়তে হয়, সেই কারণে এক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। তারা নিজেদের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ করছে এবং সেখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে কোন মন্ডপে কতটা ভিড়, কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে, ইত্যাদি সমস্ত তথ্য। জানা গিয়েছে এই পরিষেবাটি গোটা পুজো জুড়েই চালিয়ে যাবে কলকাতা পুলিশ।