১৬৬ বছর পুরোনো কলুটোলা রায়বাড়ির পুজো, আসছে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি দল
জানা গেছে এই পুজো ১৬৬ বছরের পুরনো পুজো। যেহেতু দোরগোড়ায় দুর্গাপুজো সেই কারণে এই পরিবারের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে।

শুভঙ্কর, কলকাতা: আর কটা দিন তারপরে শুরু বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গাপুজো। পুজোকে ঘিরে রয়েছে বাঙালির আবেগ ও উচ্ছ্বাস। ইতিমধ্যেই পুজো যাতে শান্তিপূর্ণ হয় এবং কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই কারণে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে একাধিক নির্দেশিকা। সমস্ত নেতৃত্বদের পুজো ঘিরে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে। পুজোর সময় জেলায় জেলায় মুড়ে ফেলা হবে নিরাপত্তার চাদরে। পাশাপাশি, দুর্ঘটনা ও অশান্তি এড়াতে মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত পুলিশ। তবে বেশি চাপ থাকে শিল্পীদের এবং সেই পরিবারের যাদের বাড়িতে প্রতি বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বড় করে পুজো করা হয় এবং মানুষের ভিড় জমে।
আজ এমনই একটি বাড়িতে আপনাদের নিয়ে যাব যেখানে প্রতিবছর রমরমিয়ে পালন করা হয় দুর্গাপুজো এবং একইসাথে ভিড় জমে অসংখ্য মানুষের। এই পুজোটি হয় কলকাতা শহরে। কলুটোলা রায়বাড়ির পুজো হিসেবে এটি বেশি জনপ্রিয়। জানা গিয়েছে এই পুজো ১৬৬ বছরের পুরনো পুজো। যেহেতু দোরগোড়ায় দুর্গাপুজো সেই কারণে এই পরিবারের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। কলুটোলা রায়বাড়ির পঞ্চম প্রজন্মের সদস্য পশুপতি রায় এই পুজোর ইতিহাস জানান। তিনি বলেন, “১৯৪৬ সালে মধ্যিখানে পুজো বন্ধ ছিলো হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার জন্য। সেই সময় এই পুজো আমাদের জোড়াসাঁকোর বাড়িতে হয়েছিল। ১৯৪৭ সাল থেকে আবার এই দালানে পুজো শুরু হয়। রায় বাড়ির সব সদস্যই এই পুজোতে অংশগ্রহণ করেন প্রতি বছরে তারা আসেন”।
তিনি আরো জানান, “এই বছর ইউনেস্কো থেকে লোকেরা আসবেন ১১ তারিখ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে। তারা পরিদর্শন করবেন। সেই কারণেই আমরা জোর কদমে প্রস্তুতি চালাচ্ছি যাতে তারা দেখতে পায় বনেদি বাড়ির পুজো কি জিনিস। বারোয়ারী পুজোর চেয়ে বনেদি বাড়ির পুজোর গুরুত্ব অনেক বেশি। সেটাই আমরা তাদের কাছে তুলে ধরতে চাই। এটাই আমাদের আসল উদ্দেশ্য”।