বাংলায় এলেন কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি
দুপুর ১টায় বিজেপির সেক্টর ফাইভের অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করবেন তিনি।

শুভঙ্কর, কলকাতা: ১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য টাকা ঘিরে গরম রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের দিল্লি অভিযানের পর এবার বাংলায় এলেন কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। জানা গিয়েছে, এদিন সাড়ে এগারোটা নাগাদ বিমানবন্দরে নামেন তিনি। এবং দুপুর ১টায় বিজেপির সেক্টর ফাইভের অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করবেন তিনি।
এই বিষয়ে শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ তৃণমূল নেতারা চাইলে বিজেপির দপ্তরে আসতে পারে এবং মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিতে পারেন। সমস্ত ব্যবস্থা আমি করে দেবো।” যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বঙ্গ সফরকে অন্যরকমভাবে দেখছে রাজনৈতিক মহল। মনে করা হচ্ছে, তৃণমূলের দিল্লি চলো অভিযানের পাল্টা দিতেই রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। উল্লেখ্য, ২ ও ৩ অক্টোবর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজন করে ‘দিল্লি চলো’ অভিযান।
তৃণমূলের দিল্লি চলো কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিলো ১০০ দিনের কাজের টাকা থেকে বঞ্চিত শ্রমিকদের তাদের প্রাপ্য পাইয়ে দেওয়া। কিন্তু এই অভিযান ঘিরে হইচই পড়ে যায় বঙ্গ রাজনীতিতে। বলে রাখা ভালো ৩ অক্টোবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে তলব করে ইডি। যদিও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে তিনি কর্মসূচিতে যোগদান দেবেন, ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন না। এরপর দিল্লির কৃষিভবনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতাদের আটক করায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গ দুই রাজ্যেই। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের গ্রেফতার হওয়ায় বাংলা জেলায় জেলায় প্রতিবাদ করতে নামের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকরা। যদিও বেরিয়ে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধিক্কার জানানোর পাশাপাশি রাজভবন অভিযান করার কথা ঘোষণা করেন। রাজভবন অভিযানে তৃণমূল প্রতিনিধিরা স্পষ্ট করে দেন যে যতক্ষণ না রাজ্যপালের সঙ্গে তারা দেখা করবেন এবং এই বিষয়ে কথা বলবেন ততক্ষণ তারা ধরনা থেকে সরবেন না। যদিও রাজ্যপাল জানিয়ে দেন তৃণমূল প্রতিনিধিদের উত্তরবঙ্গে এসে দেখা করার কথা। এবার এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বঙ্গ সফর অন্য কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছেনা তো?