Last Railway Station of India: রয়েছে ব্রিটিশদের ফেলে যাওয়া চুরুটটাও! আজও অক্ষত ব্রিটিশ নির্মিত ভারতের শেষ রেলস্টেশন

সৌমি ঘোষ, কলকাতা: ব্রিটিশদের যতই কুখ্যাতি থাক, ভারতের (India) কিছু উপকার অজান্তেই তাঁরা করেছেন। ভারতের রেল পরিষেবা (Indian Railway) বিট্রিশ অধীকৃত ভারতবর্ষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। যাত্রী সুবিধার্থে স্টেশনের (Indian Rail Station)সংখ্যা বাড়লেও বিট্রিশ শাসনের বেশ কিছু চিহ্ন হারিয়ে যেতে বসেছে।ভারতে রয়েছে ৭০৮৩ টির বেশি স্টেশন। বেশিরভাগ স্টেশনের আধুনিকীকরণ ঘটলেও প্রাচীন স্টেশনের সংখ্যাও কম নয়। প্রত্যেকেটি স্টেশন গড়ে ওঠার পেছনে রয়েছে নানারকম গল্প। আমরা কি বিট্রিশ শাসনের সবচেয়ে প্রাচীন স্টেশনটিকে ((last Railway Station of India) জানি? জানি তাকে ঘিরে কোন ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে? আসুন আজকে আমরা সেটাই জেনে নেব
ছোট্ট এই স্টেশনের নাম সিঙ্গাবাদ ( Singhabad )। বহু প্রাচীন ঐতিহ্যকে গায়ে মেখে আজ প্রায় ফসিল হতে বসেছে সে। বিট্রিশ ভারত ছেড়ে গেছে,ভারতবাসীও ভুলে গেছে সিন্দাবাদকে। আজও তাই মলিনতার চাদর জড়িয়ে একাই দাঁড়িয়ে থাকে এই স্টেশন। মানুষের কোলাহল শোনেনি বহুদিন। মালবাহী ট্রেন আসে তবে জড় পদার্থের মতো ফেলে রেখে চলে যায়। বাংলাদেশের সীমান্তে ভারতের এক প্রান্তে নিঝুম হয়ে পড়ে থাকে এই স্টেশন। মালদা জেলার (Malda Station) হাবিবপুর এলাকাতে অবস্থিত এই স্টেশন। এক ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই রয়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশ।
দেশভাগের (Partition) রক্ত দেখেছে এই স্টেশন। একসময় কলকাতা (Kolkata) থেকে ঢাকা (Dhaka) যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম ছিল এই স্টেশন। জনবহুল এই স্টেশনে রোজ জমত হাজার খানেক যাত্রী। এমনকি এই স্টেশনে পড়েছে গান্ধীজী-নেতাজির পদধূলি। তারপর দেশভাগ, দাঙ্গা, স্বাধীনতা।পদ্মা আর গঙ্গায় হয়েছে বিভেদ।গঙ্গাতেও গড়িয়েছে অনেক জল। এখন সেখানে একাই পড়ে রয়েছে জনশূন্য স্টেশনটি।
তবে শুধু ইতিহাস নয়, থমকে যেতে হয় এই স্টেশনের কারুকাজ দেখলেও। সাধরণ আর পাঁচটা স্টেশনের মতো নয়।জাঁকজমকপূর্ণ জমকালো নয়। ভারতীয় শিল্পকলা স্থাপত্যশৈলীর সাথে কোন মিল নেই এই স্টেশনের। এখানে সবকিছুই ব্রিটিশ আমলের। বিট্রিশ স্থাপত্যের অন্যতম চিহ্ন। এমনকি আজও কার্ডবোর্ডের টিকিট পাওয়া যায় যা ভারতের কোনও স্থানে পাওয়া যায় না।