Rape case in 2021: পর পর তিনজনকে ধর্ষণ! অসমে উত্তপ্ত পরিস্থিতি

অহেলিকা দও, কলকাতা: দেশ স্বাধীন (independent) হয়েছিল ১৯৪৭ সালে কিন্তু আদেও কি সেই দিনে দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছিল? আমারা কি সত্যি এরকম স্বাধীনতা চেয়েছিলাম? আজও কি মেয়েরা (girl) নির্ভয়ে (Fearless) বাড়ি থেকে বেরোতে পারে? কি আশ্চর্য বলুনতো আজ ২০২১ সালের শেষে দাড়িয়ে এখনও মানুষ এই প্রশ্নই করে। ধর্ষণের (rape) হাত থেকে আদেও কি কোনো দিনও রক্ষা পাবে মেয়েরা? এই একটাই প্রশ্ন নাড়া দেয় গোটা ভারতবাসীর মনে। আবারও শোনা যায় ধর্ষণের অভিযোগ। তিন জন বালিকাকে পর পর ধর্ষণ করেছে এক অভিযুক্ত।
কিছুদিন আগেই বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court) জানিয়েছিল অভিযুক্ত অভিযোগকারীকে স্পর্শ না করলে পকসো আইনে (POCSO Act) কোনওরকম যৌন নিগ্রহের (Sexual Harassment) অভিযোগ করা যাবে না। এবার সেই সিদ্ধান্তের চরম সমালোচনা করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এদিন সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, পকসো আইনে অপরাধ প্রমাণ করতে স্পর্শের কোনও গুরুত্ব নেই। বিচারপতি ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ বম্বে আদালতের সিদ্ধান্তটিকে খারিজ করে। তাদের মতে, মূল বিবেচ্য হওয়া উচিত অভিযুক্তের যৌন সম্পর্ক স্থাপনের কোনও অভিসন্ধি ছিল কিনা।
এসবের মাঝেই অসমের (Assam) মরিগাঁও জেলায় ঘটে গেল এক অশ্লীল ঘটনা। এক ৫০ বছর বয়সের ব্যাক্তির উপর তিন জন বালিকা ধর্ষণের অভিযোগ করেছিল। অভিযুক্তের নাম রজনীকান্ত দাইমারি ( Rajinikanth Daimari )। অভিযোগের ভিত্তিতে এই ব্যাক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। সেখানকার পুলিশের হেফাজতে থাকা সত্ত্বেও রজনীকান্ত দাইমারি পালানোর চেষ্টা করে ফলে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। ঘটনাস্থলে আহত হয় এই ব্যক্তি। এই ঘটনার পরে অভিযুক্তকে গুয়াহাটি (Guwahati) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
ঘটনা সূত্রে খবর, পুলিশের কাছে রজনীকান্ত দাইমারির বিরুদ্ধে ৯,৭,৬ বছরের তিন বালিকাকে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত রজনীকান্ত দাইমারি বহুবার তিন বালিকাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ এসেছে তাদের কাছে। গত রবিবার তারা এই ঘটনা জানতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। এরপরই পুলিশ গ্রেফতার করে রজনীকান্ত দাইমারিকে। তখনই সে পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হয়। পুলিশ জেরা করতে সে জানায় আরও একজন তাঁর ধর্ষণের শিকার এবং সেই ঘটনার জেরেই সে বলে অসমের জেংগোবরি গ্রামে সেই ঘটনার প্রমাণও রয়েছে।
এরপর পুলিশ তাকে সেখানে নিয়ে যায়। সেখান থেকেই সেই অভিযুক্ত পালাতে চেষ্টা করে আহত হন। এদিকে এরকম ঘটনা অসমে অনেক ঘটেছে। পুলিশের হেফাজত থেকে পালাতে চেষ্টা করে আহত হয়েছেন অনেকে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বলা যায়, এখনও পর্যন্ত সেখানে ২৮ জন মৃত ও ৪৯ জন আহত হয়েছেন পুলিশের গুলিতে।