Birsa Munda Birthday- তৈরী হল বিশ্বমানের রেলস্টেশন, নামাঙ্কিত করার জন্য চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে
আগামী সোমবার বিরসা মুন্ডার জন্মদিন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত উৎসবে যোগ দিতে চার ঘন্টার জন্য মধ্যপ্রদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অল্প সময়ের জন্য হলেও প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। এরই পাশাপাশি ৪৫০ কোটি টাকা অর্থ বিনিয়োগ করে মধ্যপ্রদেশের হাবিবগঞ্জ রেলস্টেশনটির সংস্কার করেছে রাজ্য সরকার। এই একই দিনে এই পুনর্নির্মিত রেলস্টেশনটির উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং।
এই হাবিবগঞ্জ রেলস্টেশনটির নাম পরিবর্তন করতে মধ্যপ্রদেশ পর্যটন দফতরের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। চিঠিতে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান উল্লেখ করেন, ভোপালের গোন্দ বংশের শেষ রানি কমলাপতির নামেই এই স্টেশনের নাম নামাঙ্কিত করা হোক। মধ্য প্রদেশের পরিবহন দফতরের তরফ থেকে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়, “১৬ শতাব্দীতে গোন্দ বংশ ভোপাল শাসন করতো। গোন্দ বংশের শেষ রানি কমলাপতির স্মৃতিকে ধরে রাখতেই হাবিবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের নাম বদল করে রানি কমলাপত্র নামে নামাঙ্কিত করার অনুরোধ করা হচ্ছে।”এর পূর্বেও ভোপালের সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর সহ একাধিক বিজেপি নেতা দাবী করেছিলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর নামে এই রেলস্টেশনটির নামকরণ করার জন্য।
বিরসা মুন্ডা সহ অন্যান্য আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীর অবদান স্মরণে আগামী ১৫ ই নভেম্বর থেকে ২২ শে নভেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচী পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই উপলক্ষ্যে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার জামবোরি ময়দানে এক বিশাল আয়োজন করেছে। পাঁচটি পৃথক জায়গায় পাঁচটি পৃথক মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রায় ৩০০ এরও বেশি কর্মী এই অনুষ্ঠানের আয়োজনের কাজ করে চলেছে। সম্ভবত মোট ৫২ টি জেলা থেকে প্রায় ২ লক্ষ আদিবাসী সেদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে চলেছে। এই অনুষ্ঠানের জন্য খরচ করা ২৩ কোটি টাকার মধ্যে ১৩ কোটি টাকা কেবলমাত্র বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুষ্ঠানে লোক জড়ো করার জন্য ব্যয় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন…..Most Expensive Fish- অজানা ‘সুপারফিসের’ গল্প, মাছেদের রাজার দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবেই
কেন্দ্রের সূত্র অনুযায়ী, এই অনুষ্ঠানের শেষেই প্রধানমন্ত্রী হাবিবগঞ্জ রেলস্টেশনটি উদ্বোধন করেন। জার্মানির হাইডেলবার্গ রেল স্টেশনের অনুরূপে পিপিপি মডেলে সংস্কার করা হয়েছে এই রেলস্টেশনটি। সার্বিকভাবে এলাহি আয়োজন করা হয়েছে মধ্যপ্রদেশ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।