Alemao Churchill: গোয়ায় তৃণমূলের পথ চলার নতুন সাথী এবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী

তৃণমূলে(TMC) যোগ দিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এনসিপি(NCP) বিধায়ক আলেমাও চার্চিল(Alemao Churchill)। মুখ্যমন্ত্রী(Cm) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) উপস্থিতিতেই তিনি দলে যোগ দেন। আগামী বছর(Next Year) গোয়ায়(Goa) বিধানসভা নির্বাচন(Legislative Election) আর তার আগে ঘর গোছানোর কাজে লেগে পড়েছে তৃণমূল(TMC)। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকমাস আগেই গোয়ার আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও, গোয়ায় দল ভারী করতে তৃণমূলে নাম লেখান প্রাক্তন টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ এবং কংগ্রেস নেত্রী নাসিফা আলি। এই পরিস্থিতি আলেমাও-এর যোগদান গোয়ায় তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলেই মতামত বিশেষজ্ঞদের। এর মূল কারণ গোয়ায় চার্চিলের প্রভাব এবং সেই প্রভাব গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে ভীষণভাবে কাজে লাগাতে পারবে দল।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন চার্চিল। পারিবারিক ফুটবল ক্লাব চার্চিল ব্রাদারস-এর মালিক ১৯ দিনের জন্য গোয়ায় মুখ্যমন্ত্রী পদের অধিকারী ছিলেন। এর আগেও ২০১৪ সালে মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন চার্চিল। কিন্তু লোকসভা ভোটে পরাজয়ের পর তৃণমূল ছেড়ে তিনি চলে যান এনসিপিতে। গোয়ায় তিনি একমাত্র এনসিপি বিধায়ক। আপাতত, ফের একপ্রকার ঘরওয়াপসি করলো আলেমাও চার্চিল। তৃণমূলের সঙ্গে হাতে হাত রেখে সুচনা ঘটালো এক নতুন রাজনৈতিক ভবিষ্যতের।
প্রসঙ্গত, দুদিনের গোয়া সফরে মমতা। বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জয়ের পর গোটা দেশে এখন প্রধান বিজেপি বিরোধী মুখে পরিণত হয়েছেন তিনি। সেই কারণে আগামী বছরের দেশের নানা রাজ্যে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনগুলিকে পাখির চোখ করে বসেছে তৃণমূল। ২০২২-এ হওয়া গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদেরকে ক্ষমতাশীল করে তোলা ও ক্ষমতার অধিকারী করার লক্ষ্যে সেখানে একপ্রকার ঘোর গোছানো শুরু করে দিয়েছে দল। দলকে আরও শক্তিশালী করতে মাঝে মধ্যেই গোয়া সফরে বেরিয়ে পড়ছেন মমতা। দলে অন্তর্ভুক্তি ঘটাচ্ছেন একাধিক হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীর। সাথে রয়েছে একাধিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। কিছুদিন আগেই বাংলার লক্ষ্মীভান্ডার প্রকল্পের অনুসরণে গোয়ায় “গৃহ লক্ষ্মী” প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দইয়েছেন। তিনি জানিয়েছে, সরকার গঠন করতে পারলেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু করে দেবেন। যেখানে প্রতি বাড়ির ভিত্তিতে মহিলাদের মাসিক পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন…..TMC in Goa- কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্র এবার গোয়ার দায়িত্বে
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রতিশ্রুতির পর খানিক মন্তব্যের দেখা মিলেছে রাজ্য জুড়ে। যেখানে রাজ্যের মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা এবং তফশিলি ও অন্যান্য উপজাতির মহিলাদের হাজার টাকা করে লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে গোয়ায় সেই মূল্য ৫০০০ টাকা কেন হবে?-এই প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। এর পাল্টা জবাব হিসাবে তৃণমূল তরফে জানানো হয়েছে, “গোয়ায় প্রতিটি বাড়ির ভিত্তিতে অর্থাৎ প্রতিটি বাড়ির যেকোনো একজন মহিলাকে এই টাকা দেওয়া হবে। অপরদিকে, বাংলায় তা প্রতিটি মহিলার ভিত্তিতে দেওয়া হয়। অর্থাৎ একটি বাড়িতে একের অধিক মহিলা থাকলে তাঁরা সকলেই লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পেয়ে থাকবেন।”