Bitcoin- কেন্দ্রের ক্রিপ্টো বিলে ধুঁকছে বাজার, জনস্বার্থে সচেতনতার সুর অর্থমন্ত্রী গলায়

ক্রিপ্টোকারেন্সি(cryptocurrency) এখন গোটা দেশে অর্জন করেছে চর্চার স্থান। কেউ নিজে এই ডিজিটাল মুদ্রায়(Digital Coin) বিনিয়োগ না করলেও ক্রিপ্টোকারেন্সি বিল(Cryptocurrency Bill) নজর কেড়েছে তারও। শীতকালীন(Winter) অধিবেশনের(Session) আগে হটাৎ কেন্দ্র সরকার এই বিলের কথা প্রকাশ্যে আনে। এরপর শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে পেশ করা হয় এই বিল(Bill), কিন্তু এই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এখনও। কার্যত, সংসদে বিলটি পেশ হলেও, এই বিষয়ে সরকারের ভবিষ্যৎ ভাবনা সম্পর্কে নেই কোনোরকমের স্পষ্টতা। সেই কারণে দেশ জুড়ে এই ডিজিটাল মুদ্রা(Digital Coin) নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। ভারতের বুক থেকে কি তাহলে মুছে যাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রার নাম? নাকি লেনদেনের মাধ্যমে বদলে দেওয়া হবে সম্পদের স্বীকৃতি?
উল্লেখ্য, এই একাধিক প্রশ্নের মাঝে শনিবার এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, “ক্রিপ্টোকারেন্সি বিল নিয়ে বিভিন্ন রকমের জল্পনা ছড়িয়েছে। যা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা করে এই বিলটি পাশ করা হবে।” তিনি আরও জানান, “ক্রিপ্টোকারেন্সির ঝুঁকি সাধারণ মানুষকে সতর্ক সচেতন করার চেষ্টা করে চলছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। প্রয়োজনে সচেতনতার প্রচারে আরও পদক্ষেপ করা হবে।”
বিভিন্ন সূত্রকে উল্লেখ করে একাধিক সংবাদমাধ্যমের বক্তব্য, “সাধারণ মুদ্রার মতো লেনদেনের মাধ্যম তো নয়ই, এমনকি বিদেশে অর্থ পাঠানো কিংবা অর্থ গ্রহণের ক্ষেত্রেও স্বীকৃতি দেওয়া হবে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে। বিলের খসড়া জুড়ে থাকতে চলেছে এমনই প্রস্তাব। পাশাপাশি, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যাতে সরকারি ডিজিটাল মুদ্রা চালু করতে পারে তার জন্য সংশ্লিষ্ট হিসাবের খাতা এবং প্রয়োজনীয় কাঠামো তৈরির প্রস্তাব থাকতে চলেছে সেখানে। সেই মুদ্রাটির নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা শীর্ষ ব্যাঙ্কের হাতে থাকলেও, বাকি সমস্ত নজরের দায়িত্ব থাকবে বাজার নিয়ন্ত্রণক সেবির হাতে। কড়া নজর রাখা হবে বিজ্ঞাপন সহ যাবতীয় প্রচারে।
উল্লেখ্য, ক্রিপ্টোকারন্সি বিলের খবর প্রকাশ্য আসার পর থেকেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে এই ডিজিটাল মুদ্রার বাজার। হু হু করে বাজার দর নেমে যায় সমস্ত ডিজিটাল মুদ্রার। ক্রিপ্টোকারেন্সির জগতে বিটকয়েনের প্রভাব প্রচণ্ড। ক্রিপ্টোবিলের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ধ্বস নামতে শুরু হয় বিটকয়েনের দামে। আর যার জেরেই বাকি সমস্ত ডিজিটাল মুদ্রার দামেও দেখা যায় হ্রাস।
আরও পড়ুন……CRYPTO CURRENCY – বাতিল ‘ব্যক্তিগত ক্রিপ্টোকারেন্সি’, বিল আনছে কেন্দ্র
উল্লেখ্য, বিটকয়েনের দামে ১৭ শতাংশের কাছাকাছি হ্রাস দেখা যায়। আর এই সূত্র ধরেই হু হু করে নিম্নমুখী হয়ে পড়ে বাকি ডিজিটাল মুদ্রাগুলি। ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনপ্রিয় কয়েক ইথেরিয়ামের দামেও দেখা যায় ১০ শতাংশ হ্রাস। প্রসঙ্গত, এরইমধ্যে বিশ্বজুড়ে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রনের প্রভাবে শুক্রবার গ্লোবাল ইক্যুইটি এবং বেঞ্চমার্ক ইউএসবন্ডের দর হ্রাস পেয়েছে। এবং যার প্রভাবকে এড়িয়ে যেতে পারেনি বিটকয়েনের বাজারও।