Babri Masjid Demolition: বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বিষয়ে কিছুই জানত না দল, ২৯ বছরের বর্ষপূর্তিতে আজব দাবি বিজেপির
স্বাধীনতা পরবর্তীতে ভারতে যে সামাজিক-রাজনৈতিক আঙিনায় যে ক্ষথগুলি আজও দেশবাসী বয়ে নিয়ে চলেছে তার মধ্যে অন্যতম বাবরি মসজিদ ধ্বংসের(29 years of Babri Masjid Demolition) কলঙ্কিত ইতিহাস। আজ থেকে ২৯ বছর আগে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর করসেবক ও রামভক্তেরা গুঁড়িয়ে দেন বাবরি মসজিদ(Babri Masjid)। উত্তরপ্রদেশ(uttarpradesh) প্রশাসন ও পুলিশ মসজিদ রক্ষায় কোনও তৎপরতা দেখায়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সেই কলঙ্কিত দিনেরই আজ ২৯ বছরের পূর্তি। এদিকে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বিষয়ে নাকি বিন্দুমাত্র জানত না বিজেপি(BJP)। মসজিদের কাঠামো ভেঙে দেওয়ার পর তা জানতে পেরেছিল তারা। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রাম নায়েক সম্প্রতি এক বিশেষ ইন্টারভিউয়ে একথা বলেছেন। যা নিয়ে ফের নতুন করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়(Social Media)। জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলেও।
এদিকে বিতর্কিত অযোধ্যা মামলা নিয়ে প্রায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে মামলা চলে সুপ্রিম কোর্টে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ২০১৯ সালের ৯ই নভেম্বর অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট(Ram Mandir in Ayodhya)। তৎকালীন ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বিশেষ সাংবিধানিক বেঞ্চ ওই রায়ে জানায় অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি পাবে হিন্দু(hindu) পক্ষ। ওই রায়েই সুন্নি ওয়াকিফ বোর্ডকে অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মসজিদ তৈরির জন্য বিকল্প ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রধান পাঁচ সদস্যের বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ।
এদিকে বাবরি সংক্রান্ত মামলায় মসজিদ ভেঙে ফেলার ঘটনায় বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি(Lalkrishna Advani), মুরলী মনোহর জোশী, উমা ভারতী-সহ মোট ৩২জন অভিযুক্তকেও অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। এদিকে বিজেপি নেতা রাম নায়েক(BJP leader ram naik) বাবারি সম্পর্কে কিছু না জানার দাবি করলেও ১৯৮৯-সালের নভেম্বরে বিতর্কিত এলাকার বাইরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শিলান্যাস অনুষ্ঠান হয়। সেখান থেকেই রামমন্দির আন্দোলনের ‘মুখ’ হিসেবে আবির্ভাব হয় বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানির। ১৯৯০-এর ২৫ সেপ্টেম্বর গুজরাতের সোমনাথ মন্দির থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে রামরথ যাত্রা শুরু করেন আদভানি। যা নিয়ে সেই সময় বিস্তর রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে।
আরও পড়ুন-জানুয়ারিতে বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী, উদ্দেশ্য ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’
পরবর্তীতে ১৯৯১ সালের জুনে উত্তরপ্রদেশে পতন নয় মুলায়ম সরকারের। বিজেপি নেতা কল্যাণ সিংহ বিধানসভা ভোটে জিতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে ৭ অক্টোবর অযোধ্যায় বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি অধিগ্রহণ করেফেলন। গতি পায় করসেবকদের আন্দোলন। বিজেপি সরকার গঠনের পরেই অযোধ্যায় করসেবার জন্য নতুন করে তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। ১৯৯২ সালের ২৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে করসেবার অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানায় কল্যাণ সরকার। শর্তসাপেক্ষে অনুমতি মিললেও ৬ ডিসেম্বরের করসেবার উপর নজরদারির জন্য পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু প্রশাসনের ‘নিরাপত্তার’ আশ্বাসে ফল মেলেনি। ওই দিনই করসেবক ও রামভক্তেরা ঢুকে গুঁড়িয়ে দেন বাবরি মসজিদ। যে ক্ষত আজও বয়ে নিয়ে চলেছে গোটা দেশ।