Cement Price- মূল্যবৃদ্ধির আগুনে সব কিছুই পুড়ে ছাই খাই, বাড়তে পারে সিমেন্টের দাম
মূল্যবৃদ্ধি(Inflation) যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে একের পর এক সামগ্রী। আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই সিমেন্টের দামে দেখা যাবে চড়া বৃদ্ধি। এই আর্থিক বছরে প্রায় ৪০০ টাকার রেকর্ড ছুঁয়ে যেতে পারে সিমেন্টের(Cement) দাম, এমনই জানাচ্ছে রেটিং এজেন্সি ক্রিসিল। দাম বাড়ার মূল কারণ বলা হচ্ছে, ইনপুট কমোডিটির বিনিয়োগের চাপকে। যেমন কয়লা আর ডিজেলের সঙ্গে বাড়তি চাহিদাকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারের একটি রিপোর্টে ক্রিসিল(CRISIL) জানাচ্ছে, মূল্যবৃদ্ধির(Inflation) মধ্যে সিমেন্ট(Cement) কোম্পানি(Company)-গুলির আর্নিং বিফোর ইন্টারেস্ট(Earning Before Interest), ট্যাক্স(Tax), ডিপ্রিসিয়েশন আর অমোটাইজেশন(EBITA) এই আর্থিক বছরে(Financial Year) ১০০ থেকে ১৫০ টাকা প্রতি টন কমতে পারে, যে কারণে ইনপুটের বিনিয়োগ বাড়ছে।
সম্ভবনা এনার্জি ও তেলের দাম বাড়ার
আমদানিকৃত কয়লা(প্রথম ভাগে বাৎসরিক নির্ভরের উপর ১২০ শতাংশ বেশি) এবং পেটকোকের(৮০ শতাংশ বৃদ্ধি) দামে সাম্প্রতিক বৃদ্ধিতে এই আর্থিক বৎসরে এনার্জি ও তেলের দামে প্রতি টনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বৃদ্ধির সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়াও, এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতির বড় অংশ আশা এখনো বাকি আছে। সিমেন্ট বিক্রির পরিমাণ এই আর্থিক বছরে ১১ থেকে ১৩ শতাংশ বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে, তবে তা নিম্নভিত্তির উপর রয়েছে। এই বৃদ্ধির জেরে ব্যাপকভাবে দামের প্রভাব থেকে খানিকটা রেহাই মিলতে পারে আর ক্রেডিট প্রোফাইলকে স্থিতিশীল রাখা যেতে পারে। এজেন্সি ইতিমধ্যে ১৭টি সিমেন্ট কোম্পানির বিশ্লেষণ করেছে, যাঁদের ভারতে ৭৫ শতাংশের কাছাকাছি বাজারে অংশীদারি রয়েছে।
সিমেন্টের চাহিদায় দেখা যেতে পারে বৃদ্ধি
সিমেন্টের চাহিদায় এই আর্থিক বছরের প্রথম ভাগে ২০ শতাংশের বেশি শক্তিশালী বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় ভাগে সেই বৃদ্ধি কমে ৩ থেকে ৫ শতাংশে নেমে আসার সম্ভবনাও রয়েছে। আর এই হ্রাসের মূল কারণ বেশি বেস এফেক্ট, যা এই আর্থিক বছরে ১১ থেকে ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি দেখাচ্ছে। এছাড়াও, রিয়েল এস্টেট বিল্ডারদের সমষ্টি কনফেডারেশন অব রিয়েল এস্টেট ডেভলপার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া(CREDAI) সম্প্রতি সিমেন্ট আর স্টিল সহ কাঁচামালের দামে নিরন্তর বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছিল। ক্রেডাই তরফে জানানো হয়েছিল, নির্মাণের বৃদ্ধি পাওয়া মূলধনের ভরপাই করার জন্য বাড়ির দাম ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। তারা দাবি করেছিল, সরকারের কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করার উপায় বের করা উচিত। আর এই উদ্দেশ্যেই তারা জিএসটি কম করার পরামর্শ দিয়েছিল।
আরও পড়ুন…..LPG Price Hike- মূল্যবৃদ্ধির যাঁতাকলে পিষ্ট সাধারণ, ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরু থেকেই ভারতের বাজারে যেন লেগে গিয়েছে মূল্যবৃদ্ধির দাবানল। পেট্রোল-ডিজেল থেকে শুরু নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল জিনিসের দামই এখন আকাশছোঁয়া। “অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান”- মানুষের বেঁচে থাকার এই তিন গুরুত্বপূর্ণ রসদের মধ্যে বর্তমানে জুড়ে গিয়েছে ইন্টারনেটও। আর চলতি বছরে সেই ইন্টারনেট রিচার্জের প্যাকেজের দামেও দেখা গিয়েছে চড়া বৃদ্ধি। বাকি ছিল বস্ত্র ও বাসস্থান। গত মাসেই কেন্দ্রীয় সরকার জামাকাপড়ের উপর বাড়িয়ে দেয় শুল্কের পরিমাণ। আর আগামী কয়েকমাসের মধ্যে সিমেন্টের দাম বাড়ার জেরে যে বাড়ি-ঘরের দাম হু হু করে বাড়তে চলেছে, তার ইঙ্গিত যথারীতি দিয়ে দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।