শিক্ষক দিবসের আগেভাগেই শিক্ষকদের টিকা! কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ অধিকাংশের
দেশে ফের ফিরছে করোনা-ত্রাস। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কি ভয়ানক পরিস্থিতি হয়েছিল গোটা দেশে তা এখনো সকলেরই মনে রয়েছে। ব্যাপক হরে করোনা সংক্ৰমণ কমেছিল কিছুদিন। তবে ইতিমধ্যেই কেরলে বাড়ছে সংক্রমণ। এ মাসে অতিরিক্ত ২ কোটি টিকা দেওয়া হবে রাজ্যগুলিকে, বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্দাভিয়া জানিয়েছেন এমনটাই। আগামী ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস, তার পূর্বেই সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাকে টিকা দেওয়ার জন্যই যে এহেন ব্যবস্থা, তা সাফ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
ট্যুইটার বার্তায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ইতিমধ্যেই শোরগোল ফেলেছে শিক্ষকমহলে। কোভিড অতিমারীর আবহে শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে যখন রীতিমত নাস্তানাবুদ শিক্ষার্থীরা, এহেন সময়ে শিক্ষকদের গুরুত্ব অপরিহার্য। ফলত কোভিড-যোদ্ধাদের সমকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্থান দেওয়ায় সাধুবাদ জানান হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যপর্ষদকে।
গত বছরের অক্টোবরে কোভিড অবস্থার উন্নতি হওয়ায় কেন্দ্রের তরফে সবুজ সঙ্কেত পায় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি। যদিও ২০২১-এর মার্চেই দেশব্যাপী লকডাউনের জেরে তালা পড়ে সবরকমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দরজায়। এমতাবস্থায় এপ্রিল মাসে হানা দেয় কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ। বেশ কিছু বিদ্যালয়ে আংশিক উপস্থিতি বজায় রেখে চললেও সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায় সেগুলিও!
কোভিডের আগ্রাসী জোয়ারের প্রভাব কম হওয়ার ফলে বর্তমানে পুনরায় চালু হয়েছে বেশ কয়েকটি রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি। যদিও তৃতীয় ঢেউয়ের সম্মুখে দাঁড়িয়ে টিকা না পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে কীভাবে চলবে স্কুল? সে বিষয়ে সন্দিহান কেন্দ্র। টিকাপ্রাপ্তি না হওয়ায় শিক্ষকরাই শিক্ষার্থীদের জন্য কোভিডের ‘গেটওয়ে’ হতে পারেন, সে বিষয়ে আগাম সতর্ক করেছেন গবেষকরা!
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের জেরে গতবছরের মার্চ মাস থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। এরপর অনলাইন ক্লাস চালু হয়েছে ঠিকই। তবে অনলাইন ক্লাসের সুবিধা সকলে পাচ্ছে না। বিশেষত প্রত্যন্ত গ্রামের যে সমস্র পড়ুয়ারা আছে তাদের অনেকেরই স্মার্টফোন বা ঠিক মত ইন্টারনেটের সংযোগ নেই। সেই কারণে একপ্রকার শিক্ষার থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে দেশের ছাত্রদের অনেকেই।