কেন্দ্রের নজরে এবার শিশুরাও, অগ্রাধিকার, কো-মর্বিডিটি কেসে! কবে থেকে শুরু হচ্ছে টিকাকরণ?
ভারতে ফের মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ, বাড়তে শুরু করেছে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশে ইতিমধ্যেই আছড়ে পড়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আর পুজোর মুখেই তা সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছতে পারে! তবে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করে রিপোর্টে জানানো হয়েছে, তৃতীয়ে ঢেউয়ে ব্যাপক ভাবে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। আর তারপর থেকেই দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে নিয়ে আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনাতে শুরু করেছে আম-আদমির মনে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের নিয়েই চিন্তা সবচেয়ে বেশি, সেকারণেই তাদের যত দ্রুত সম্ভব টিকা দেওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। একথা মাথায় রেখেই ২০২২ সালের মার্চের মধ্যেই দেশের সমস্ত শিশুদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করতে চলেছে কেন্দ্র। তবে কো-মর্বিডিটি রয়েছে এমন শিশুদের টিকাকরণের ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কোভিড টিকা সংক্রান্ত সরকারের উপদেষ্টা কমিটির প্রধান এন কে অরোরা।
পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই ১২-১৭ বছর বয়সিদের টিকাকরণের ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু করছে কেন্দ্র। সেই টিকাকরণ আগামী অক্টোবর থেকেই শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। দেশে ১২-১৭ বছর বয়সি শিশুর সংখ্যা ১২ কোটি। যার মধ্যে এক শতাংশের কো-মর্বিডিটি রয়েছে। কোন শিশুদের কী ধরনের কো-মর্বিডিটি থাকলে টিকাকরণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে, তার একটি তালিকা প্রস্তুত করছে কেন্দ্র। তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি, সে’কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।
তবে প্রশ্ন উঠছে, শিশুদের টিকাকরণের বিষয়টি নিয়ে বহুদিন থেকেই দাবি উঠতে শুরু করেছে দেশজুড়ে। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ যখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে, তখনই কি টনক নড়ল সরকারের ? তাছাড়া এখনও পর্যন্ত দেশের মাত্র ৭.৬% মানুষের টিকাকরণের দুটি ডোজ সম্পূর্ণ হয়েছে। দৈনিক যেখানে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল কেন্দ্র, সেখানে তা গড় ৫০ লক্ষের মধ্যেই আটকে রয়েছে। সরকার যেখানে তার দেওয়া একটা প্রতিশ্রুতিও রাখতে পারেনি, সেক্ষেত্রে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে দেশের সমস্ত শিশুদের টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কি রাখতে পারবে? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।