Chennai Flood- জমানো টাকা দিয়ে বন্যা দুর্গতদের পাশে ৭ বছরের শিশু, বাহবা সোশ্যাল পাড়ায়

সাইকেল কেনার স্বপ্ন নিয়ে অর্থ সঞ্চয়(Savings) করছিলেন পাট্টালামের(Pattalam) সাত বছরের ‘জননী'(Janani)। কিন্ত সম্প্রতি এক বন্যা(Flood) কবলের জেরে ভেসে গেছে পাট্টালামের গ্রামগুলি। অসহায় হয়ে পড়েছেন গ্রামের একাধিক মানুষ। বন্যায় সর্বহারা এই মানুষগুলির খাবার জোগান দেওয়ার জন্য নিজের সঞ্চয়ের ৫০০০ টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘জননী’ নামের এই সাত বছরের শিশু কন্যা(Seven years old girl child)।

পাট্টালামে নিজের দাদীর সঙ্গে থাকেন জননী। কর্মসূত্রে তার বাবা আর.আর.নাগার্জুন ও মা শিবরাজানি থাকেন অন্ধ্রপ্রদেশে। মেয়ের এই সিদ্ধান্তে খুশি পুরো পরিবার। পাট্টালাম এলাকার একটি কর্পোরেট বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী জননী। গত চার বছর ধরে নিজের পকেটমানি থেকে প্রতিদিন একটু একটু টাকা জমাচ্ছিল সে, স্বপ্ন ছিল একটি সাইকেল কেনার। নিজের পকেটমানি থেকে প্রতিদিন ৫ টাকা করে জমাতো জননী। ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত সঞ্চয়ী ছিল এই সাত বছরের মেয়েটি।

চেন্নাইয়ের বাংলা খবর,মানবিকতার খবর,ভাইরাল খবর,বন্যা-কবলিতদের খবর,দেশের বাংলা খবরChennai Bangla News,Humanitarian News,Viral News,Flood Victims News,Country Bangla News,Chennai news,Chennai latest news,Chennai news live,Chennai news today,Today news Chennai,thattankulam,pulianthope,pattalam,north chennai,mother teresa,janani,andhra pradesh

তবে বেশ কিছুদিন আগেই বন্যায় ভেসে গিয়েছিল পাট্টালাম ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা। সেই পরিস্থিতিতে তার প্রতিবেশীদের এই দুঃখ-দুর্দশার ছবি দেখে সমব্যথী হয় পড়ে ছোট্ট জননী। নিজের সঞ্চয়ের থেকে ৫০০০ টাকা নিয়ে এগিয়ে এসে এই বন্যা-কবলিতদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যে। নৌকা করে করে দুধ, বিস্কুট, রুটি ইত্যাদি খাদ্য খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছিল উত্তর চেন্নাইয়ে অবস্থিত পুলিয়ানথোপ, শিবরাজপুরম, থাত্তানকুলাম, পাট্টালাম ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বন্যা-কবলিত অসহায় মানুষদের কাছে।

আরও পড়ুন……Hardik Pandya- বিপাকে হার্দিক! এয়ারপোর্টে বাজেয়াপ্ত ৫ কোটি টাকার ঘড়ি

জননীকে এই কাজের অনুপ্রেরণার বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে বলেন, “সঞ্চয়ের ধারণা আমাকে আমার বাবা দিয়েছিলেন। আমরা মাদার টেরিসার অনুরাগী। আমি নিজেও দরিদ্র এবং অভাবী। কিন্ত তবু আমি ছোটদের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলাম, তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গত চার বছর ধরে টাকা সঞ্চয় করে আগামী জানুয়ারী মাসে আমার জন্মদিনের সময় সাইকেল কিনবো স্থির করেছিলাম। কিন্ত তা আমি পরেও কিনতে পারি। আমার প্রতিবেশীদের দুঃখের দিনে দাঁড়াতে পারাটাই এই মুহুর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।” মেয়ের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে জননীর বাবা নাগার্জুন বলেন, “ও ছোটবেলা থেকেই এরকম। ওর বয়সের বাচ্চাদের মতন ও নিজের জন্য কিছু কিনে টাকা অপচয় করতো না। ওর এই কর্মকাণ্ডের জন্য আমাদের প্রতিবেশীরা ওকে অনেক আশীর্বাদ ও প্রশংসা করেছেন।” নেটদুনিয়াতেও এই সাত বছরের ছোট্ট জননীর মানবিকতায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই।




Back to top button