৩৬ লাখ টাকার খাবার খেয়ে মেটানো হয়নি বিল! টাকা চাইলেই আশ্বাস দিচ্ছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার রাজস্থানের আজমিরে সফরে এসেছিলেন কংগ্রেস (congress) সেবাদলের জাতীয় সভাপতি লালজি দেশাই। আর সেই অনুষ্ঠানেই শুরু চরম গণ্ডগোল। একজন ক্যাটারার সেখানকার নেতাদের বিরুদ্ধে ৩৬ লক্ষ মূল্যের খাবার খেয়ে অর্থ না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। শুধু তাই নয়, এই খাবার কেলেঙ্কারি (Food scandal) নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভও করেছেন ক্যাটারার। খাবার খেয়ে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন ক্যাটারার।

অভিযোগ, এসময় ক্যাটারার ও সেবা দলের নেতাদের মধ্যে শুরু হয় তুমুল হাতাহাতি। পরে সেবাদলের কর্মীরা সেই ক্যাটারারকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, দলের সভাপতির সামনেই টাকা দাবি করে স্লোগান তোলে ক্যাটারার। সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ (social media) মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

কংগ্রেস সেবাদলের জাতীয় সভাপতির সভায় গণ্ডগোল,রাজস্থানে কংগ্রেসের অবস্থা,রাজস্থানে কংগ্রেসের খাবার কেলেঙ্কারি,National President of the Congress Sebadal,the state of the Congress in Rajasthan,the food scandal of the Congress in Rajasthan

যে ব্যক্তির এই অভিযোগ ঘিরে বিবাদ সৃষ্টি হয়েছে, তার পরিচয় জানা গেছে। খান্ডেলওয়াল ক্যাটারিং-এর অপারেটর, নাম মিলিন্দ খান্ডেলওয়াল। মিলিন্দ মিডিয়াকে জানিয়েছেন যে ২০১৯ সালের ১০ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি কেয়াদে সেবাদলের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে সারাদেশের শ্রমিকরা অংশ নেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন স্বয়ং রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এই প্রোগ্রামের জন্য তাকে ৭১ লাখ টাকার খাবারের চুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

এর মধ্যে তাকে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে এবং ৩৬ লাখ টাকা বাকি রয়েছে। এত বড় অঙ্ক না পাওয়ায় আর্থিক সংকটে পড়েছেন তিনি। মিলিন্দ জানিয়েছেন, ‘কংগ্রেসের লোকেরা প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, কিন্তু এই লোকেরা খাবারও খেয়েছে আর টাকাও খেয়েছে’। মিলিন্দ অভিযোগ করেছেন, তিনি সুদের টাকা ধার করে আড়াই লক্ষ কংগ্রেস কর্মীকে খাওয়ান। বারবার অনুরোধ করেও তাকে তার প্রাপ্য অর্থ দেওয়া হচ্ছে না।

বকেয়া টাকার বিষয়ে রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মা এবং মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের কাছে আবেদনও করেছেন তিনি। কিন্তু কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। শুধু বার বার আশ্বস্ত করা হয়েছে। যার কারণে সে আত্মহত্যার কথাও ভেবেছে। এবার টাকা না পেলে আত্মহত্যার হুঁশিয়ারিও দেন ওই ক্যাটারার। আরও বলেন, ‘যদি আমায় আত্মহত্যা করতে হয় তাহলে এর জন্য দায়ী থাকবেন ডক্টর রঘু শর্মা ও অন্যান্য নেতারা’।
এই হট্টগোলের পর সেবাদল জাতীয় সভাপতিসহ অন্য নেতারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। কিন্তু আবার মিলিন্দ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কংগ্রেস নেতারা তাকে ক্ষমতার ভয় দেখাতে শুরু করেছে, কিন্তু তিনি থেমে যাবেন না।




Back to top button