Omicron – ওমিক্রন সংক্রমণে দ্বিগুণ মৃত্যুর আশঙ্কা! করোনার নতুন রূপ নিয়ে চিন্তায় বিজ্ঞানীরা

অহেলিকা দও, কলকাতা: করোনায় (corona) আতঙ্কিত (Panicked) মানুষকে আরও আতঙ্কিত করে তুলেছে এই ওমিক্রন (Omicron)। একে করোনাভাইরাসের অতি দ্রুত মডেলও বলা হয়। অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও প্রথমে যেহেতু এই ভাইরাসের কারণে কোনো মৃত্যু হয়নি তাই অনেকেই এই ভাইরাস নিয়ে বিশেষ উদ্বিগ্ন ছিলেন না। কিন্তু সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে (United Kingdom) প্রথম ওমিক্রন সংক্রামণের ফলে মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। এক সমীক্ষা রিপো্র্ট অনুসারে, এপ্রিল মাসের শেষে এই ওমিক্রন সংক্রমণে মৃত্যু হতে পারে ৭৫ হাজার মানুষের। আবারও হতে পারে লকডাউন (lockdown)। এমনই জানাচ্ছেন লন্ডনের এক গবেষকরা (Researchers)।
তবে সমীক্ষকরা এও জানান, মাস্ক পরা (mask), সামাজিক দূরত্ব (social distance), বুস্টার ডোজ (Booster dose) টিকাকরণের (Vaccination) মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ওমিক্রন। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এবং ট্রপিকাল মেডিসিনের একদল গবেষকের করা সমীক্ষায় বলেছেন, আগামী বছর এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত ব্রিটেনে ২৪,৭০০ থেকে ৭৪,৮০০ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। আগের মাস নভেম্বরে হু (WHO) সতর্কতা জারি করে নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাস ওমিক্রনের কথা জানায়। এমনকি তারা দাবি করেছেন, এই ওমিক্রন ভাইরাসের এমন ক্ষমতা রয়েছে যে তারা অনেক বেশি সংক্রমণ ছড়াবে এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজনও বেশি হবে তাই সরকারি ভাবে অতিরিক্ত সতর্কতা নিতে হবে।
সমীক্ষার ক্ষেত্রে গবেষকরা অনুমান করেই নিয়েছেন যে, যদি অধিকাংশ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হয় এবং টিকাকরণের ক্ষেত্রে বুস্টার ডোজ কার্যকর হয় তাহলে ২০২২ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ব্রিটেনে প্রতিদিন ২০০০ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন অর্থাৎ এই আগামী সাড়ে চার মাসে ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন এবং ২৪,৭০০ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এমনকি ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে যতজন মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তার থেকে প্রায় দ্বিগুণ মানুষকে এবার হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হবে।
আরও পড়ুনঃ প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে জাতীয় পুরস্কার লাভ, গ্রামের দর্জি আজ ফ্যাশন ডিজাইনার
তবে এই ভাইরাসে বুস্টার ডোজের কার্যকারিতা যদি তেমন উচ্চ মাত্রায় না হয় তাহলেই বিপদের আশঙ্কা। সমীক্ষার গবেষক ড. রোসানা বার্নার্ড বলেন, ‘পরিস্থিতি যদি ভালোর দিকে থাকে তা হলে ওমিক্রন ভাইরাসের প্রভাবে ২০২২ সালের প্রথমার্ধটা কাটবে হালকা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। যেমন আবার বাড়ি থেকে কাজের দিন ফিরবে। কিন্তু তা যদি না হয় তা হলে নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সরকারকে কড়া হতেই হবে। মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব আর বুস্টার ডোজ টিকাকরণ খুব জরুরি’।