Total Omicron cases in India: দাপট বাড়াচ্ছে ওমিক্রন, একাধিক রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

ওমিক্রণের(Omicron) সঙ্গেই ক্রমবর্ধমান কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যাও। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ২৪ঘণ্টায় নতুনভাবে করোনা(Corona) আক্রান্ত হয়েছে ৮৩০৬ জন। এবং মৃত্যু হয়েছে ২১১জনের। ইতিমধ্যেই ওমিক্রনের আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা দেশে। পাশাপাশি মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং দিল্লিতে রবিবার নতুন ভাবে করোনায় আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ার সাথে সেখানেই করোনভাইরাস-এর ওমিক্রন ভেরিয়েন্টেরও বেশ কয়েকটি কেস ধরা পড়েছে। তাই বর্তমানে ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২১।

ওমিক্রনের খবর,করোনার খবর,কর্নাটকের খবর,ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তি,করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি,বাংলার খবর,দৈনিক সংক্রমণ,করোনায় দৈনিক সংক্রমণ,Omicron News,Corona News,Karnataka News,Omicron Infected,Corona Infected,Bangla News,Daily Infection,Corona Daily Infection

আরও পড়ুনঃOmicron- চওড়া হচ্ছে ওমিক্রনের থাবা, তবে কী শেষ রক্ষা হল না তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে

উল্লেখ্য প্রথম ওমিক্রনে আক্রান্ত হয় কর্ণাটকের ২ব্যক্তি। এরপর গত ৫ই ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের পুনে জেলায় ওমিক্রনের ৭টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৬জন একই পরিবারের সদস্যদের রোগটি ধরা পড়েছে। অন্যদিকে জয়পুরে নতুন করে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ৯টি কেস নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে যাদের মধ্যে সবাই একই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। সেদিনই দিল্লিতে বছর ৩০-র একজন ব্যক্তি ওমিক্রনে সংক্রমিত হয়েছে এবং তাঁকে লোক নায়ক জয় প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

এরকম পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য ভ্রমণের ব্যবস্থাপনাকে আরোও কঠোর করেছেন। প্রত্যেকটি যাত্রীকে বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর টেস্ট অথবা কোভিড টেস্ট করানো হচ্ছে। ফলাফল নেগেটিভ আসলে তবেই তাদের ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হচ্ছে বা এয়ারপোর্টের বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যেখান থেকে ওমিক্রন সবথেকে বেশি সংক্রমিত হচ্ছে তার মধ্যে ১২টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রয়েছে যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, চীন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং ইসরায়েল সহ ইউরোপের দেশগুলি।

ইতিমধ্যেই কর্নাটকে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে। সাথে সেখানেই ২রা ডিসেম্বর প্রথম ওমিক্রণ আক্রান্ত হয়েছিলেন ২জন। এরকম পরিস্থিতিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে কর্ণাটকের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ বলেছেন,” স্কুল ও পরীক্ষা বন্ধ করার প্রয়োজন হলে আমরা পিছপা হব না। যাইহোক, বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত বিশেষজ্ঞের মতামতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই,প্রয়োজন হলে আমরা পরীক্ষা বন্ধ করে দেব। পরীক্ষায় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি খুব কঠোরভাবে বজায় রাখা হয় কারণ আমরা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করি”। তিনি আরও জানান সরকার প্রতি ঘণ্টায় কভিড-১৯ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং আশা করা যায় ওমিক্রণ রোগের ফলে স্কুল বন্ধ হলে সরকার এর বিকল্প ব্যবস্থা আবারও নেবেন।

 




Back to top button