বামেদের ‘কৃষ্ণ’ বিদায়, রাহুলের হাত ধরেই নতুন ‘আজাদীর’ পথে কানহাইয়া-জিগনেশ
ভরসা নেই কৃষ্ণেও। বামেদের(left) অন্দরে গত কয়েকদিন ধরেই কার্যত এই কথাটাই ঘোরাফেরা করছিল তীব্র ভাবে। আরও খোলসা করে বললে বাম ছাত্র-যুবদের ‘ভগবান’ তথা ‘ইউথ আইকন’ কানহাইয়া কুমারও (Kanhaiya Kumar) এবার যোগ দিতে চলেছেন কংগ্রেসে (Congress)। সেই সঙ্গে কলেজে জীবনের বদভ্যাস মনে হয় এখনও ত্যাগ করতে পারেননি গুজরাতের দলিত নেতা জিগনেশ মেবানী(Jignesh mewani)। ‘দাদার অনুগামী’ হয়েই ভিড়তে চলেছেন সোনিয়ার দলে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জল্পনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই অবশেষে সমস্ত জল্পনা সত্যি করে মঙ্গলবারই হাত শিবিরে ভিড়ছেন দুই তরুণ নেতা। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া কুমারের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে বারেবারেই উত্তাল হয়েছে বাম রাজনীতি। ছাত্র জীবনে সিপিআই-র ছাত্র সংগঠন এআইএসএফ (AISF) করলেও এসএফআই (SFI) সহ কমবেশি প্রায় সমস্ত বাম ছাত্র শিবিরে বরাবরই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থেকেছেন কানহাইয়া।
অন্যদিকে বিহারের বেগুসরাইয়ের কানহাইয়াকে সামনে রেখেই জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গত কয়েক বছরে অনেকটাই উত্থান ঘটে বামেদের। এবার সেই বাম আদর্শের মূর্ত প্রতীক কানহাইয়ার দলবদলে যে বড় ধাক্কা লাগতে চলেছে বাম শিবিরে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অন্যদিকে কানহাইয়ার দেওয়া ‘আজাদী’ স্লোগান আজও বামেদের লড়াইয়ের অন্যতম প্রাণবায়ু। কানহাইয়ার কারনেই গত কয়েক বছরে দিল্লির মঞ্চেও অনেকটা শক্তি বৃদ্ধি হয় বামেদের। এদিকে কানহাইয়াদের যোগদানের জন্য মঙ্গলবার রাজধানীর বুকে মেগা ইভেন্ট রেখেছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীই এদিন তাদের হাতে তুলে দেবেন দলীয় পতাকা। এদিকে বছর ঘুরতেই গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচন। তার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করে পদ্ম শিবির।
এমতাবস্থায় জিগনেশ মেবানীর মতো দলিত নেতার কংগ্রেস যোগ হাত শিবিরে নতুন করে অক্সিজেন যোগাবে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আসন্ন নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের তরফে টিকিটও পেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিহারের বেগুসরাই থেকে সিপিআই-র হয়ে বিজেপিকে টক্কর দিয়েছিলেন বিহারের কানহাইয়া। কিন্তু প্রতিপক্ষ BJP-র গিরিরাজ সিং-এর কাছে বড় ধাক্কা খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়েন।