অন্তর্জালেই মারণ ফাঁদ, করোনাকালে ‘টেকি স্যাভি’ অপরাধীদের বাড়বাড়ন্তে নাজেহাল পুলিশ

বদলাচ্ছে অপরাধের ধরণ, শহরের অলিগলিতে লুকিয়ে থাকা কুখ্যাত সব কুচক্রীরা আজকাল ওত পাতছেন অন্তর্জালের দুনিয়ায়। এমনকী করোনাকালের বন্দিদশায় সেই অপরাধের পরিমাণ বেড়েছে বহুগুণ। সম্প্রতি ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (National Crime Records Bureau) বা এনসিআরবি রিপোর্ট বলছে গোটা দেশজুড়ে একবছরে ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সামগ্রিক সাইবার অপরাধের পরিমাণ।

এনসিআরবি-র সদ্য প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে গত এক বছরে গোটা দেশে মোট সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৭০৮। এর মধ্যে অবথেকে বেশি কেস জমা পড়েছে তেলেঙ্গানা, গুজরাত আর অসম থেকে। শুধুমাত্র তেলঙ্গানায় সাইবার ক্রাইমের পরিমাণ ৮৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

NCRB Report,Cyber Crime in India,Cyber Crime in Assam,Sextortion in India,Cyber Crime Cases,এনসিআরবি-র রিপোর্ট,ভারতে সাইবার ক্রাইম,অসমে সাইবার ক্রাইম,ভারতে সেক্সটরশন,সাইবার ক্রাইমের মামলা

এদিকে সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না তিলোত্তমাও(Kolkata)। NCRB’র দেওয়া তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে কলকাতায় মাত্র ৩২টি সাইবার মামলা পুলিশের খাতায় রেজিস্টার্ড হয়েছিল। সেখানে ২০১৯ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬০টিতে। ২০২০ সালের পরিসংখ্যানে কলকাতায়  দায়ের হয়েছে ১৭২টি সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত মামলা। অন্যদিকে সমস্ত সাইবার অপরাধের মধ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতার কারমে প্রতিশোধ ও ‘সেক্সটরশন’-র পরিমাণ সর্বোচ্চ বলে জানা যাচ্ছে।

NCRB Report,Cyber Crime in India,Cyber Crime in Assam,Sextortion in India,Cyber Crime Cases,এনসিআরবি-র রিপোর্ট,ভারতে সাইবার ক্রাইম,অসমে সাইবার ক্রাইম,ভারতে সেক্সটরশন,সাইবার ক্রাইমের মামলা

যেমন এনসিআরবি-র রিপোর্ট বলছেন অসমের ৩ হাজার ৫৩০টি সাইবার অপরাধের ঘটনার মধ্যে বেশিরভাগই ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে ঘটানো হয়েছে। মোট কেসের মধ্যে এই ধরণের ঘটনার পরিমাণ ৪৫ শতাংশের উপরে। অন্যদিকে কলকাতায় সংখ্যাটা শতাধিক হলেও বেঙ্গালুরুতে এই সংখ্যা ৮ হাজারের উপরে। সেখানে পুলিশের খাতায় রেজিস্টার্ড সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত কেসের সংখ্যা ৮৮৯২। অন্যদিকে হায়দরাবাদে ২৫৫৩, মুম্বইয়ে ২৪৩৩, লখনউয়ে ১৪৬৫টি সাইবার অপরাধের কেস নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।




Back to top button