Cyclone Jawad- ইয়াস পেরিয়ে এবার চোখ রাঙানি জাওয়াদের, একের পর এক ঘূর্ণিঝড় চিন্তা বাড়াচ্ছে আবহবিদদের

অরুণিমা সরকার, কলকাতা- “একে রামের রক্ষা নেই, তারপর ওপর সুগ্রীব দোসর”। এটি প্রবাদ বাক্য হিসেবে প্রচলিত হলেও এটিই এখন ঘটে চলেছে আমাদের প্রকৃতিতে। ২০২০ থেকে মারণ ভাইরাস (virus) করোনা (corona )এসে তছনছ করে দিচ্ছে আমাদের জীবনযাত্রাকে। তারপর কয়েকদিন আগেই হয়ে গেলো ভূমিকম্প (earthquake) , যদিও তার প্রভাব (effect) খুব একটা সুদূর প্রসারি (long lasting) হয়নি। ভারতীয় মৌসুম ভবনের সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দেশে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় (cyclone) জাওয়াদ (jawad)।
এই ঘূর্ণিঝড়টির (cyclone) নামকরণ করেছেন আরব (Arab) দেশ। ‘জাওয়াদ’ (jawad) শব্দের অর্থ মহান (Great)। মঙ্গলবার সকাল (Tuesday morning) পর্যন্ত নিম্নচাপ রূপে এটির অবস্থান ছিলো দক্ষিণ থাইল্যান্ড উপসাগর (South gulf of Thyland) এবং মায়ানমার (mayanmar) থেকে দক্ষিণে আন্দামান সাগর (Andaman sea) পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আগামী চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে আন্দামান সাগরে শক্তি বৃদ্ধি করে পশ্চিম (West) এবং উত্তর-পশ্চিম (North-west) দিকে অগ্রসর হবে।
আগামী ৪৮ ঘন্টা থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে (andaman and nicobar islands) ভারী বৃষ্টির (havy rain fall) সম্ভাবনা (possability) রয়েছে। এরপর পরবর্তী ২৪ ঘন্টার (24 hours) মধ্যে বঙ্গোপসাগরের (The bey of bengal) ওপর দিয়ে নিম্নচাপটি যাওয়ার সময়, ঘূর্ণিঝড় (cyclone) তৈরী করে আছড়ে ৪ ডিসেম্বর (4th December) অর্থাৎ শনিবার (saturday) সকালে আছড়ে পড়তে পারে অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhraprades) ও ওড়িশার (odisha) উপকূলে।
ওড়িশা (odisha) এবং ওড়িশার উপকূলে সংলগ্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত (havy rainfall) হতে পারে। উত্তরবঙ্গ (North bengal) সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত (effected) না হলেও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা (possability) রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে। পূর্ব মেদিনীপুর (East Midnapur), পশ্চিম মেদিনীপুর (west midnapur) ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় ( south 24 pgs), হাওড়া (Howrah), ঝাড়গ্রাম (Jhargram) প্রভৃতি অঞ্চলে। বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন……Weather Update – বৃষ্টি শেষে ফিরছে ঠান্ডা, বঙ্গে জাঁকিয়ে পড়বে শীত জানাল আবহাওয়া দফতর
আবহাওয়া দপ্তরের সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার (sunday) এই জেলাগুলিতে হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। শুক্রবার (Friday) থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন (Weather change) হতে পারে কলকাতেও (kolkata)। মেঘলা আকাশের (cloudy sky) সাথে রয়েছে বজ্রপাতের (thunders) সম্ভাবনাও (possability) রয়েছে। হতে মৃদুমন্দ থেকে ভারী বৃষ্টিপাতও (havy rainfall)। তবে এই ঘূর্ণিঝড় (cyclone) কি সত্যিই উপকূলে আছড়ে পড়বে? নাকি বেড়িয়ে যাবে পূর্ব উপকূল ঘেঁষে? এ বিষয়ে অবশ্য নিশ্চিত করে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।