Delhi Pollution: নানা দেশের নানা শহরকে ছাপিয়ে দূষণের তালিকায় ‘বিশ্বসেরা’ দিল্লি
দীপাবলির(Diwali) পর থেকেই খবরের পাতায় প্রতিদিন দিল্লি দূষণ। ছট পুজোর মধ্যেই দিল্লির বক্ষ হয়ে প্রবাহিত যমুনায় দূষণের মাত্রা এতোটাই বেড়ে যায় যে জলে ফেনা তৈরি হতে শুরু করে। এছাড়াও শুধু উৎসবকেই দূষণের মূল কারণ হিসাবে দায়ী করা যায় এমনটা মোটেই নয়। দিল্লির মতো ব্যস্ত শহরে সারাক্ষণই মানুষের চলাফেরা, গাড়ির শব্দ, ধোয়া ইত্যাদি মিলে মিশে শহরকে পরিণত করেছে আবর্জনায়। দিল্লির(Delhi) এনসিআরে(NCR) বাতাস এতোটাই খারাপ যে সেখানে খোলা বাতাসে শ্বাস নেওয়ার মানে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা। এই পরিস্থিতি শুক্রবার প্রকাশিত সুইস প্রযুক্তি সংস্থা আইকিউ এয়ার(IQ-Air)-এর প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, “বিশ্বে সবচেয়ে দুষিত ১০টি শহরের মধ্যে ‘বিশ্বসেরা’ খ্যাতি লাভ করেছে দিল্লি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। তৃতীয়স্থানে রয়েছে বুলগেরিয়ার সোফিয়া এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে কলকাতা।
উল্লেখ্য, শুক্রবারের প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে ভারতেরই তিনটি শহরের নাম উল্লেখ আছে। যার মধ্যে ‘বিশ্বসেরা’ দুষিত শহরের তকমা লেগে গেছে দিল্লির গায়ে। প্রতিবেদন অনুসারে, দিল্লির বাতাসের গুণমান ৫৫৬ একিউআই(AQI)। অপরদিকে, কলকাতার বাতাসের গুণমান ১৭৭ একিউআই(AQI) এবং মুম্বাইয়ের বাতাসের গুণমান ১৬৯ একিউআই(AQI)।
জেনে নিন বিশ্বের সেই শীর্ষ দশটি দুষিত শহরের নাম-
১. দিল্লি, ভারত (AQI: 556)
২. লাহোর, পাকিস্তান (AQI: 354)
৩. সোফিয়া, বুলগেরিয়া (AQI: 178)
৪. কলকাতা, ভারত (AQI: 177)
৫. জাগরেব , ক্রোয়েশিয়া (AQI: 173)
৬. মুম্বাই, ভারত (AQI: 169)
৭. বেলগ্রেড, সার্বিয়া (AQI: 165)
৮. ছেঙ্গু, চিন (AQI: 165)
৯. স্কোপিয়া, নর্থ ম্যাসাডোনিয়া (AQI: 164)
১০. ক্রাকো, পোল্যান্ড (AQI: 160)
আরও পড়ুন…No entry to Death- ৭০ বছরে এই শহরে কেউ মারা যায়নি, কারণ জানলে অবাক হবেন আপনিও
প্রসঙ্গত, এই সংস্থারই আর একটি সমীক্ষা অনুসারে জানা যাচ্ছে, “বিশ্বে ৩০টি সবচেয়ে দূষিত শহরের মধ্যে ২২টি রয়েছে ভারতে। ২০১৯ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বে বাতাসে গুণমান বৃদ্ধি পেলেও, ভারতে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। ভারতের বাতাস এখনও বিপদজনকভাবে দূষিত।” এছাড়াও এই সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে যে, “বার্ষিক পিএম ২.৫(PM 2.5) র্যাঙ্কিংয়ে ভারত আধিপত্য বজায় রেখে চলেছে।” এই পিএম ২.৫ বলতে বোঝানো হয়েছে, ২.৫ মাইক্রোমিটার আকারের পরিবেষ্টিত বায়ুবাহিত কণাগুলিকে, যা বিভিন্ন উৎস থেকে নির্গত হয় এবং স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই কণাগুলির প্রভাবে কার্ডিওভাসকুলার রোগ, শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা এবং অকালমৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।