Dilip Attacks Mamata: বাংলাকে দেশদ্রোহির তকমা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে মমতা, তোপ দিলীপের

বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh) প্রায়শই টিপ্পনি করতে থাকেন বিরোধী দলের নেতা নেত্রীদের। কখনো শোনা গেছে কোনো মিডিয়া পোস্টে তিনি বিরোধী দলের বিষয় কিছু লিখছেন, কখনো আবার খোলা মিটিং বা প্রেস কনফারেন্সে নিজের বক্তব্য পেশ করছেন বিরোধী পক্ষের বিষয়ে। এহেন বিজেপির বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস(Trinamool Congress) নিয়ে তার বিদ্বেষের অন্ত নেই। কখনো তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বলছেন “বন্যার জলে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে আসেন, ১০ বছরে কিচ্ছু করেননি মমতা” আবার অন্য কোনো সভাতে তিনি বলছেন “না জেনেই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী|”
এরূপ কটাক্ষের আবার শিকার হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee) দিলীপ ঘোষের কাছে। শনিবার পুরসভা ভোটের প্রচারে দিলীপ ঘোষ বেহালার ১৩২নম্বর ওয়ার্ডে আসেন, তিনি নিজের অর্থাৎ বিজেপির জন্য প্রচার করতে। প্রচার চলাকালীন সেখানে বিরোধী গোষ্ঠী তিনি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে আবারও কটাক্ষের সুরে বলেন মুখ্যমন্ত্রী নাকি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তথা পুরো পশ্চিমবঙ্গকে দেশদ্রোহিতার জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃTathagata Roy – “আপাতত বিদায়, পশ্চিমবঙ্গ BJP !” তথাগত রায়ের ট্যুইট উসকে দিল দল ছাড়ার জল্পনা
দিলীপ ঘোষের বক্তব্য ছিল,”CISF, BSF, সেনা সবাই এরাজ্যে কাজ করবে। তৃণমূল সংবিধান না মেনে বিরোধিতা করছে। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেন্ট্রাল ফোর্সকে আক্রমণ করার কথা বলেন। তাদের মারার জন্য জন্য মানুষকে লেলিয়ে দেন। পুলিশের সঙ্গে সেন্ট্রাল ফোর্সের ঝামেলা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গকে দেশদ্রোহিতার জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।” সঙ্গে তৃণমূলের নির্বাচনী ইসতেহারকেও কটাক্ষ করেন তিনি বলেন,”কলকাতায় বছরের পর বছর তৃণমূলের মেয়র রয়েছে। তাও কেন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। এখন বিজেপির অনুকরণে ইসতেহার বানাচ্ছে তৃণমূল।”
এই কটাক্ষের কোনো জবাব দেয়নি এখনও অবধি তৃনমূলের কোনো নেতা নেত্রী সহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস শনিবার গোয়ায় ‘গৃহলক্ষ্মী’ প্রকল্পের প্রস্তাব ঘোষণা করেছে। তৃণমূল শিবিরের দাবি, প্রত্যেক পরিবারের গৃহকর্ত্রী মাসে 5 হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন যদি গোয়ায় তারা জিতে যান৷ বাংলার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর আদলেই সেখানে চালু হতে চলেছে ‘গৃহলক্ষ্মী’ প্রকল্প ৷ এ নিয়ে দিলীপের বক্তব্য, “গোয়ার মানুষ এসবে ভুলবেন না ৷ বাংলায় মানুষের কাজ নেই ৷ তাই মাসে 500 টাকা পেতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের লাইনে দাঁড়ান তাঁরা৷ কিন্তু, গোয়ার মানুষের রোজগার অনেক বেশি ৷ তাই সেখানে তৃণমূলের এই ফর্মুলা কোনও কাজে আসবে না”