Farm Laws Repealed- মুখের কথায় নেই ভরসা, সংসদ থেকে বাতিল না হওয়া পর্যন্ত ফিরতে নারাজ কৃষকরা
গত দুমাস ধরে রাজধানীর(Delhi) সীমান্তে তিনটি কৃষক আইন(Farmer’s law) প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন হাজার হাজার কৃষক। যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকার তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবি মেনে নেবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানিয়েছিলেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত(Rakesh Tikait)। চলতি সপ্তাহের শুক্রবার এই তিনটি কৃষক বিল প্রত্যাহার করে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কৃষকদের ফের মাঠে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)।
কিন্তু শুধুমাত্র ঘোষণায় বিশ্বাস করে না কৃষকেরা, যতক্ষণ না পর্যন্ত সংসদে এই বিল প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাশ করানো হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বাড়ি ফিরে আসবে না তারা এমনটাই জানিয়েছেন কৃষক ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত। ফোনে কেন্দ্রের এইচটি-র সঙ্গে কথা বলার সময় টিকাইত বলেন ন্যূনতম সমর্থন থেকে মুলতুবি পাস করানো অনেকগুলো ধাপ আছে, যার এখনও পর্যন্ত কোনো সুরাহা করে উঠতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, “খুনতা তব্ভি উখারেঙ্গে,যব কাম পাক্কা হো জাভেগা (ফিরে তখনই যাবো, যখন আমাদের কাজ শেষ হবে)।” শুক্রবার কেন্দ্রের তরফ থেকে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার সভাকে আলোচনা, পর্যালোচনা জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। এই সভাতেই কেন্দ্রের কিষাণ সংক্রান্ত পরবর্তী কর্মসূচী সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনাকে “এটি শুধুমাত্র একটি শুরু” বলে টিকাইত স্পষ্ট জানান, “আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৬০০ টিরও বেশি কৃষক তাদের আত্মত্যাগ করেছেন এবং যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আমাদের তাদের আত্মত্যাগকে সম্মান করতে হবে।” তাই সংসদে বিল পাশ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদী কৃষকেরা বাড়ি বা মাঠে ফিরবেন না।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যে তিনটি কৃষয় আইন প্রস্তাবিত করা হয়েছিল সেগুলি জন্য দিল্লির সীমান্তে হাজার হাজার কৃষকেরা জড়ো হয়েছিলেন। কৃষকদের বক্তব্য ছিল সরকারের এই আইনগুলি তাদের কর্পোরেটদের ভরসায় ছেড়ে দেবে। কর্পোরেটরা যা দাম নির্ধারণ করবে সেই দামেই বিক্রি করতে হবে ফসল। যদিও সরকারের যুক্তি ছিল আইনগুলি বাজার ব্যবস্থা ও খামার বাণিজ্য পরিবর্তন করবে ও অর্থনীতিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে আয় বাড়িয়ে তুলবে।