কৃষকদের ডাকা বনধের আঁচ গোটা দেশেই, কোন কোন রাজ্যে কতটা প্রভাব পড়ল জেনে নিন
কৃষক আন্দোলনের ১০ মাস পূর্তিতে সংযুক্ত কিষান মোর্চার(sanjukta Kisan Morcha) ডাকা ভারত বনধে(Bharat Bandh) ভালো প্রভাব পড়ল গোটা দেশেই। এদিকে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস, সিপিপিএম-র মতো বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি বনধে সমর্থন দিয়েছে সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক, আর এস পি, সমাজবাদী পার্টি, সিপিআই এম-এল (লিবারেশন), সিপিআই(এম) নিউ ডেমোক্রেসি, এস ইউ সি আই(সি), এম সিপিআই (ইউ), কংগ্রেস, আপ, টিডিপি, জেডিএস, বিএসপি, এনসিপি, ডিএমকে, ওয়াইএসআরসিপি-র মতো দলগুলিও। যার জেরে সোমবার সকাল থেকেই একাধিক রাজ্যে জায়গায় জায়গায় শুরু গিয়েছিল চাক্কা জ্যাম।

৪০টি কৃষক সংগঠনের ডাকে এই বনধ চলল সোমবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। বনধের ভালো প্রভাব পড়ল তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা সহ অন্যান্য রাজ্যেও। দক্ষিণে শাসক সিপিএম বনধে পূর্ণ সমর্থন জানানোয় ভালো প্রভাব পড়েছে কেরলে। পুরো দস্তুর বনধ হল রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যেগুলিতেও।

কিষাণ মোর্চার দাবি, প্রায় ১০০ টি সংগঠন এদিনের বনধে গোটা দেশে অংশ নিচ্ছে। এছাড়াও বনধে সমর্থন দিয়েছে একাধিক গণসংগঠন। অন্যদিকে কৃষকদের দাবিকে মান্যতা দিতে দেখা গিয়েছে ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলিকেও। এদিকে বনধের আওতা থেকে হাসপাতাল, মেডিকেল স্টোর, ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান সহ সমস্ত জরুরি পরিষেবাগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এদিকে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত স্পষ্টতই জানিয়েছেন তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে কোনোভাবেই আন্দোলনের রাস্তা থেকে পিছু হটবে না কৃষকেরা। প্রয়োজনে আরও বড় আন্দোলনের ডাক দেওয়া হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে সকাল থেকেই টুইটারে একের পর এক তোপ দেগে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এমনকী মোদী সরকারকে বারবার চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণও শানতে দেখা যায় তাকে। অন্যদিকে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের স্পষ্ট হুশিয়ারি, প্রয়োজন পড়লে দশ মাসের বদলে ১০ বছরও আন্দোলন চালিয়ে যাবে কৃষকেরা। তবুও কোনোভাবেই কার্যকরী করতে দেওয়া হবে না নতুন কৃষি আইন।