টাকার দরকার, গোল্ড লোন নেবেন ভাবছেন! নূন্যতম এই কাগজপত্র থাকলে সহজেই মিলবে ঋণ

বর্তমানে ভারতের অন্যান্য ঋণের তুলনায় স্বর্ণঋণ (Gold Loan) অধিক জনপ্রিয়। এর কারণ হল, নূন্যতম কিছু প্রমাণপত্র,কম সুদ এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে এই ঋণ পেতে পারেন সাধারণ মানুষ। স্বর্ণ-ঋণের প্রক্রিয়াটি অন্যান্য ঋণের তুলনায় অনেক বেশী সহজে হলেও স্বর্ণ-ঋণ নেওয়ার সময় যে বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত, সেগুলি হল :

১) সোনার ঋণে সুদের হার (Gold Loan Interest Rate) :

অন্যান্য ঋণের তুলনায় অনেক কম পরিমাণ সুদে ঋণ নেওয়া যায় এক্ষেত্রে। বর্তমানে একটি প্রতিষ্ঠিত গোল্ড লোন সংস্থা বার্ষিক ১২%-১৩% সুদে ঋণ দিয়ে থাকে।

২) সোনা বন্ধক রাখার সময় আপনি যে পরিমাণ সোনা থেকে ঋণ পান :

গোল্ড লোন পাওয়ার উপায়,কি প্রক্রিয়াতে পাওয়া যেতে পারে গোল্ড লোন,গোল্ড লোনের জন্য কি কি ডক্যুমেন্ট প্রয়োজন হয়,How to get gold loan in a short time,what documents are required for gold loan,গোল্ড লোন,Gold loan

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দ্বারা এই নির্দেশিকা প্রায়শই পরিবর্তিত হতে থাকে। আগে ৮০% মূল্য পাওয়া গেলেও বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭০%। অর্থাৎ, আপনার সোনা যদি ১ লক্ষ টাকার হয়, তবে আপনি ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন।

৩) আপনার স্বর্ণ নিরাপদ কি না?

গোল্ড লোনের সংস্থা থেকে সোনা কখনও হস্তান্তর হয় না, বরং তা নিরাপদে সংরক্ষিত অবস্থায় থাকে। গোল্ড লোন সংস্থা থেকে সোনা চুরি বা অন্যান্য কোনো সমস্যাও কখনও হয় না।

ভারতবর্ষে মনপ্পুরম ও মুথুট ফাইন্যান্সের মতন কিছু প্রতিষ্ঠিত গোল্ড লোন সংস্থা স্বর্ণের পরিবর্তে অর্থ দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যে যে প্রক্রিয়াকরণের মধ্যে দিয়ে আপনাকে যেতে হবে সেগুলি হল :

১) নিকটস্থ ব্যাঙ্ক বা গোল্ড লোন সংস্থায় নিজের সোনা নিয়ে যান :

ব্যাঙ্ক বা গোল্ড লোন কোম্পানির হাতে সোনা হস্তান্তর করার পর তারা সেই সোনার বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করে দেখবেন। সোনার ওজন পরিমাপ করে নেবেন।

২) সোনার ঋণের মূল্য :

গোল্ড লোন পাওয়ার উপায়,কি প্রক্রিয়াতে পাওয়া যেতে পারে গোল্ড লোন,গোল্ড লোনের জন্য কি কি ডক্যুমেন্ট প্রয়োজন হয়,How to get gold loan in a short time,what documents are required for gold loan,গোল্ড লোন,Gold loan

সোনার পরিমাণ ওজন করে তারা আপনাকে সঠিক ঋণের মূল্য জানাবেন। তাই আপনার যদি ৭০ হাজার টাকা প্রয়োজন হয়, তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে ১ লক্ষ টাকার সোনা সেখানে ঋণ হিসাবে বন্দক রাখতে হবে।

৩) নথিপত্রের প্রমাণ :

স্বর্ণ-ঋণ নিতে গেলে আপনাকে নিজের একটি আইডি প্রুফ দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রুফ দিতে পারেন, তবে সেটিকে অবশ্যই নির্ভুল ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে।

উপরোক্ত প্রক্রিয়াগুলি সঠিকভাবে হলে আপনি সহজেই পেয়ে যেতে পারেন আপনার, প্রয়োজনীয় স্বর্ণ-ঋণ। বর্তমানে বহু সোনার ঋণ কোম্পানি অনেকদিন কম সুদের হার অফার করছে। সুতরাং, অন্যান্য ঋণের পরিবর্তে সেগুলি বেছে নেওয়াই সঠিক হবে যেহেতু পুরো প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত।




Back to top button