৪ বছরের মধ্যেই দেশের হিন্দু জনসংখ্যাকে ছুঁয়ে ফেলবে মুসলিমরা, বিতর্ক উস্কে দিলেন সাংসদ
করোনার মারণব্যাধির পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতার বিষ একটু একটু করে বাড়ছে দেশে, মত সমাজবিজ্ঞানীদের। এমতাবস্থায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিতর্কিত মন্তব্য বারংবার উস্কে দিয়েছে সাম্প্রদায়িক বিতর্ককে। সম্প্রতি কংগ্রেসের এক সাংসদের মন্তব্যে নতুন করে সরগরম রাজনৈতিক মহল।
মুসলিমদের প্রজনন হার অধিক, ফলত ২০২৮ সালের মধ্যে দেশে হিন্দু এবং মুসলিমদের জনসংখ্যা সমান হতে চলেছে, জানিয়েছেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা দিগ্বিজয় সিং। বুধবার এক সভায় মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এমনই বক্তব্য পেশ করেছেন বলে খবর। রাজ্যসভার সাংসদের বক্তব্যের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই তুমুল ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে।
ভাইরাল ভিডিয়োয় দিগ্বিজয়কে রীতিমত ব্যাখ্যা করতে দেখা যায় এই বিতর্কিত প্রসঙ্গে। ২০২৮ সালের মধ্যে উভয় সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা সমান হওয়ার বিষয়ে সাংসদের বক্তব্য, “সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র পড়ছিলাম। আদমশুমারির তথ্যভিত্তিক ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৫১ সাল থেকে মুসলমানদের মধ্যে তীব্র হয়েছে প্রজনন হার। হিন্দুদের থেকে এই হার বেশি হওয়ায় জনসংখ্যা সমান-সমান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।”
কংগ্রেস নেতার সাফ কথা, “প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মুসলমানদের প্রজনন হার ২.৭%, কিন্তু হিন্দুদের মধ্যে এই হার ২.৩%। এই হারে মুসলমানদের সংখ্যাবৃদ্ধিতে ২০২৮ সালের মধ্যে জনসংখ্যার নিরিখে সমান-সমান হয়ে যাবে হিন্দু ও মুসলমান।” যদিও পাশাপাশি মুসলমানদের সংখ্যাবৃদ্ধির বিষয়ে ছড়ানো গুজবকেও নস্যাৎ করেন সাংসদ। “১০ বছরে মুসলিম জনসংখ্যা হিন্দুদের চেয়ে বেশি হবে, এ ধরনের কথা যাঁরা বলেন তাঁরা মিথ্যাবাদী।” দিগ্বিজয় সিং জানান, “আসাদউদ্দিন ওয়াইসি মুসলমানদের এবং বিজেপি হিন্দুদের বিভ্রান্ত করছে।