নতুন ব্যাবসা শুরু করতে গেলে কোন পথে পাবেন লোন? জেনে নিন এক ক্লিকেই
লকডাউনে ভারতে চাকরি গেছে বহু প্রাইভেট সংস্থার কর্মীর। এই অবস্থায় অনেকেই নতুন করে ব্যবসা শুরু করবেন ভাবছেন। সেক্ষেত্রে অনেকেই ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হন লোনের জন্য। ভারতে ব্যাবসার জন্য ঋণ পাওয়া একটা সময়ে যথেষ্ট দুরূহ হলেও বর্তমানে ঋণ পাওয়া যথেষ্ট সহজসাধ্য। একাধিক ব্যাঙ্ক কম পুঁজির লোন দিয়ে থাকে গ্রাহককে।
আসলে ব্যাবসার জন্য যে পুঁজি প্রয়োজন হয় তা অনেক সময়েই ঘরে থাকে না। সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ না হয়ে উপায় থাকে না নতুন ব্যাবসায়ীদের কাছে। তবে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেতে হলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন যেগুলি না থাকলে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়বে
১. কোম্পানির আর্থিক উদ্দেশ্য
২. ব্যাবসার পরিকল্পনা, উদ্যোগপতিদের আর্থিক সঙ্গতি
৩. ব্যাবসার প্রকৃতি এবং আকার
৪. ব্যাবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা
৫. পুঁজিবাজারের প্রবণতা
৬. সরকারি নিয়মাবলী
৭. CIBIL স্কোর
এই বিষয়গুলি অবশ্যই উদ্যোগপতিদের ব্যাবসার যে প্ল্যানিং সেখানে থাকতে হবে যাতে ব্যাঙ্কের কাছ থেকে লোন পেতে সুবিধা হয়। এবার জেনে নেবার পালা ঠিক কোন কোন পদ্ধতিতে ব্যাঙ্কের কাছে ঋণের আবেদন রাখা সহজসাধ্য।
প্রথম ধাপ- ব্যাঙ্কের কাছে লিখিতভাবে ব্যাবসায়িক পরিকল্পনা জানাতে হবে। এক্ষেত্রে উদ্যোগপতিরা পেশাদার ব্যাবসায়িক পরিকল্পনার লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। ঋণ তখনই গ্রাহ্য হবে যখন ব্যাবসায়িক পরিকল্পনা থেকে সুস্পষ্টভাবে লাভের অঙ্ক এবং সুদের পরিমাণ বোঝা যাবে।
দ্বিতীয় ধাপ- প্রতিটি ব্যাঙ্ক বা ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে যা মানলে তবেই ঋণ পাওয়া সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে উদ্যোগপতিকে নিজের ব্যাবসার পরিসর, কোন সংস্থা থেকে ঋণ পাওয়া লাভজনক এই বিষয়গুলি সম্বন্ধে ধারণা থাকতে হবে
তৃতীয় ধাপ- ব্যাঙ্কে যাবার আগে নিজের সমস্ত ব্যাবসা সংক্রান্ত কাগজপত্র গুছিয়ে রাখতে হবে। ব্যাবসার তথ্যে যদি কোন জটিলতা থাকে সেক্ষেত্রে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। তাই যতটা পারা যায় পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ রাখতে হবে ব্যাবসার প্রয়োজনীয় তথ্য।
চতুর্থ ধাপ- ব্যাঙ্কে একবার ঋণ সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা পড়ে যাবার পর উদ্যোগপতি ঋণ পাবেন কিনা এই পুরো বিষয়টাই ব্যাঙ্কের অধীন। ফলে ঋণ মকুব হল কিনা তা জানতে কিছুদিন অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।